বিসিসিআই কোষাধ্যক্ষের কথায় সৌরভের মসনদ টিকে যাওয়ার গন্ধ, বিস্তারিত জেনে নিন
বিসিসিআই কোষাধ্যক্ষের কথায় সৌরভের মসনদ টিকে যাওয়ার গন্ধ, বিস্তারিত জেনে নিন
দায়িত্ব নিয়েই দেশের প্রথম দিন-রাতের টেস্ট সাফল্যের সঙ্গে অনুষ্ঠিত করে দেখিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। টেস্ট বিমুখ কলকাতার দর্শকদের আবারও ময়দানমুখী করার ক্ষেত্রে যে তাঁর একার ক্যারিশমাই কাজে এসেছে, তা স্বীকার করবেন মহারাজের সমালোচকরাও। এহেন ব্যক্তিকেই যে বিসিসিআই সভাপতি পদে দেখতে চায় দেশ, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে কী! কমবেশি সেই সুর শোনা গিয়েছে বোর্ডের কোষাধ্যক্ষের কথাতেও।
বৈঠক পয়লায়
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন বিসিসিআই কমিটি আগামী পয়লা ডিসেম্বর তাদের প্রথম সাধারণ সভা বা এজিএম ডেকেছে। তার আগে বৈঠকের এজেন্ডা বা আলোচনার বিষয় প্রকাশ করলেন বিসিসিআই-র কোষাধ্যক্ষ অরুণ সিং ধুমল।
আলোচনার বিষয়
প্রথম জানানো হয়েছিল যে বিসিসিআই-র সাধারণ সভায় সত্তরোর্ধ ব্যক্তিদের বোর্ডের পদাধিকার পাওয়া এবং সুপ্রিম কোর্টের লোধা প্যানেল রচিত সংবিধানে বর্ণিত কুলিং-অফের নিয়ম সংশোধন নিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু বৈঠকের এজেন্ডায় জানানো হয়েছে যে ৭০ বছরেও বোর্ডের পদাধিকার পাওয়ার নিয়ম সংশোধনে এখনই খুব একটা আগ্রহী নয় বিসিসিআই। বরং কুলিং-অফের নিয়ম অবিলম্বে পরিবর্তন করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন বিসিসিআই কোষাধ্যক্ষ অরুণ সিং ধুমল।
চলতি নিয়ম
লোধা কমিটির সংবিধানে বলা হয়েছে, বিসিসিআই ও রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার কোনও পদাধিকারি পরপর দুবার (তিন বছর করে) একই চেয়ার অলকৃত করলে, এর পরের দফায় তিনি আর বোর্ডের কোনও ভোটে (তিন বছর) দাঁড়াতে পারবেন না।
সমস্যার কারণ
নিয়ম অনুযায়ী, বিসিসিআই সভাপতি পদে আর মাত্র ৯ মাস থাকতে পারবেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কারণ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল বা সিএবি সভাপতি পদে দুই বার নির্বাচিত হয়েছেন মহারাজ। একই সঙ্গে এই পদে টানা পাঁচ বছরের বেশি দায়িত্ব সামলেছেন সৌরভ। সবমিলিয়ে ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে ছয় বছর (বিসিসিআই সভাপতি পদে ১০ মাস) কাটানোর পর সরে যেতেই হবে মহারাজকে। একই পরিণতি হতে পারে বিসিসিআই সচিব জয় শাহেরও।
বিকল্প ভাবনা
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয় শাহ তাঁদের নির্ধারিত কার্যকাল সম্পূর্ণ করুন, চায় বিসিসিআই। পয়লা ডিসেম্বরের সাধারণ সভায় তাই লোধা কমিটি রচিত সংবিধান সংশোধন নিয়ে আলোচনা হবে। সেক্ষেত্রে পুরনো নিয়ম পরিবর্তন করে যে নতুন প্রস্তাব নিয়ে বিসিসিআই-র বৈঠকে আলোচনা হতে পারে তাতে শুধু বোর্ডের (রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা নয়) কোনও পদাধিকারি পরপর দুবার একই চেয়ার অলকৃত করলে, পরের দফায় তিনি আর ভোটে (তিন বছর) দাঁড়াতে পারবেন না। সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারিত সংবিধান সংশোধনের জন্য আদালতের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। পয়লা ডিসেম্বরের সাধারণ সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব পাশ হলে এবং এ ব্যাপারে এথিক্স অফিসার ও কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের সম্মতি মিললে, বিসিসিআই দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।