সৌরভ-শাহকে রাখতে বেসরকারি বিসিসিআইয়ের মুখে 'জাতীয় স্বার্থ'-এর বুলি!
সৌরভ-শাহকে রাখতে বেসরকারি বিসিসিআইয়ের মুখে 'জাতীয় স্বার্থ'-এর বুলি!
যেনতেন প্রকারেণ সভাপতি ও সচিব যথাক্রমে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং জয় শাহের কার্যকালের মেয়াদ বাড়াতে বদ্ধপরিকর বিসিসিআই। দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আরএম লোধা কমিটি বর্ণিত সংবিধানে উল্লেখিত কুলিং-অফর নিয়ম শিথিল করতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড, সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা করেছে, তার শুনানি ১৭ অগাস্ট হচ্ছে না বলে খবর। এরপরেই নিজেদের নতুন রণনীতি তৈরি করে নিল বিসিসিআই। সেদিকে নজর ফেরানো যাক।
যোগী আদিত্যনাথ
উত্তরপ্রদেশের রাজপুত ঘরানায় জন্ম যোগী আদিত্যনাথের। সেখান থেকে প্রথমে মেধাবী ছাত্র, তারপর সন্ন্যাসী ও পরে রাজনেতা থেকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। এই সফর একেবারে অন্যরকম ছিল উত্তরপ্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। জন্মের সময়ে তাঁর নাম ছিল অজয় সিং বিস্ত। রাজনীতি ও সন্ন্যাসে আসার আগে মেধাবী ছাত্র ছিলেন আদিত্যনাথ। গণিতে স্নাতক ডিগ্রি তিনি অর্জন করেছেন। দেশের বাকী মুখ্যমন্ত্রীদের চেয়ে আদিত্যনাথ বয়সেও ছোট।
বিসিসিআই-এর বক্তব্য
সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও সচিব জয় শাহের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য সুপ্রিম কোর্টে 'জাতীয় স্বার্থ'-এর বুলি আওড়ালো বেসরকারি বিসিসিআই। আদালতে দাখিল করা আবেদনে বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুণ সিং ধুমল জানিয়েছেন, ক্রিকেট প্রাশসকের দায়িত্বে অভিজ্ঞ, সফল পদাধিকারিদের (সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয় শাহ) দেশের স্বার্থে এবং মানুষের স্বার্থে বহাল রাখা হোক। তাতে দেশের ক্রিকেটের উন্নতি হবে বলেও আবেদনে জানানো হয়েছে।
মনোহরলাল খট্টর
হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের বয়স ৬২। তিনি অবিবাহিত। ১৯৭৭ সালে তিনি আরএসএস-এ যোগ দেন। তিনবছরের মধ্যে তিনি প্রচারক হন। এরপরে আর বিয়ে করেননি তিনি। প্রায় ১৪ বছরের বেশি সময় প্রচারক হিসাবে আরএসএসের কাজ করার পরে ১৯৯৪ সালে মনোহরলাল খট্টর বিজেপিতে যোগ দেন। এরপরে ২০১৪ সালে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
শুনানি স্থগিত!
করোনা ভাইরাসের জেরে লকডাউনে বেশ কিছু দিন আদালত বন্ধ থাকায় সুপ্রিম কোর্টে বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলা জমে গিয়েছে। একে একে সেগুলির জট ছাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা। ইতিমধ্যে বিসিসিআইয়ের মামলার শুনানি ১৭ অগাস্ট হওয়ার কথা থাকলেও, সেটি নির্দিষ্ট তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের হাই প্রোফাইল আবেদনের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ মামলার নিষ্পত্তি হওয়া বাকি। তাই এখনই বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও সচিব জয় শাহের ভাগ্য নির্ধারণ করা সম্ভব নয় বলে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
সর্বানন্দ সোনওয়াল
সর্বানন্দ সোনওয়ালের বয়স ৪৫ বছর। ২০১৬ সালে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি শপথ নিয়েছেন। এই প্রথম অসমে সর্বানন্দের হাত ধরে বিজেপি সরকার গঠন করেছে। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে অসম থেকে বিজেপির টিকিটে জিতে সর্বানন্দ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হন। ২০১৬ অসম বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে লড়াই করে বিজেপি। মাজুলি বিধানসভা থেকে জিতে সর্বানন্দ মুখ্যমন্ত্রী হন। তিনিও অবিবাহিতই রয়েছেন।
আগের শুনানি
বিসিসিআই সংবিধানে বর্ণিত কুলিং-অফের নিয়ম অনুযায়ী বিসিসিআই সভাপতি ও সচিব পদ থেকে অব্যাহতি নেওয়ার কথা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয় শাহের। এই নিয়মের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। গত ২২ জুলাই সেই আবেদন গ্রহণ করেছিলেন দেশের প্রধান বিচার শরদ অরবিন্দ বোবদে ও বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের ডিভিশন বেঞ্চ। জানিয়েছিল, ১৭ অগাস্ট হবে মামলার শুনানি।
নবীন পট্টনায়েক
ওড়িশার বিজেডি প্রধান নবীন পট্টনায়েক ২০০০ সাল থেকে রাজ্যের প্রশাসন চালাচ্ছেন। তাঁর বয়স ৭০। তিনি অবিবাহিত। তাঁর পিতা বিজু পট্টনায়েক নামেই দল তৈরি হয়েছে। তিনিও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। পরে জনতা দল ভেঙে বেরিয়ে এসে বিজু জনতা দল তৈরি হয়। অটল বিহারী বাজপেয়ীর জমানায় নবীন পট্টনায়েক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। ২০০০ সালে ওড়িশায় এনডিএ সঙ্গে জোট বেঁধে বিধানসভা নির্বাচনে লড়ে বিজেডি বেশি আসন পেলে কেন্দ্রীয় পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী হন নবীন পট্টনায়েক।
সমস্যাটা ঠিক কোথায়
২০১৫ সালে সিএবি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। গত অক্টোবরে বিসিসিআই সভাপতি হন মহারাজ। সবমিলিয়ে ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে সৌরভের ছয় বছর সম্পূর্ণ হয়েছে। নিয়ম পরিবর্তন না হলে ২৭ জুলাই তাঁকে বিসিসিআই সভাপতির পদ থেকে তিন বছরের জন্য বিরাম নিতে হবে। একই অবস্থায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র জয় শাহেরও। ৭ মে-তে শেষ হয়েছে তাঁর মেয়াদ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের হয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। পরে ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করে বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যান। ১৯৫৫ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করা মমতা ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে। অবিবাহিত থেকেছেন। মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন বলে তিনি বহুবার জানিয়েছেন। ২০১১ সালে ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে মমতা মুখ্যমন্ত্রী হন। ২০১৬ সালে দ্বিতীয়বারের জন্য মসনদে বসেছেন তিনি।
আইপিএল ২০২০ : প্রস্তুতি উপলক্ষ্যে একই বিমানে চেন্নাই রওনা রায়না সহ ৩ সিএসকে ক্রিকেটারের