সৌরভের বিসিসিআইয়ের নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত! উপকৃত হবেন ৯০০ পেনশনভোগী ক্রিকেটার ও আম্পায়ার
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বিসিসিআইয়ের বিরাট পদক্ষেপ। প্রাক্তন ক্রিকেটার ও আম্পায়ারদের মাসিক পেনশন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। এতে উপকৃত হবেন প্রায় ৯০০ জন। বিসিসিআই সচিব জয় শাহ জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে অন্তত ৭৫ শতাংশ পেনশনভোগীর মাসিক পেনশনের পরিমাণ একশো শতাংশ বাড়ল।
প্রাক্তন আম্পায়ারদের পাশাপাশি পুরুষ ও মহিলা প্রাক্তন ক্রিকেটাররা এবার থেকে প্রতি মাসে বর্ধিত পেনশন পাবেন। বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, প্রাক্তন ক্রিকেটাররা যাতে আর্থিকভাবে ভালো থাকেন তা নিশ্চিত করার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্লেয়াররাই লাইফলাইন। কোনও ক্রিকেটার খেলা ছাড়ার পরও তাঁদের পাশে থাকা কর্তব্য বোর্ডে আমরা যাঁরা রয়েছি তাঁদের। আম্পায়াররা 'আনসাং হিরো' (অর্থাৎ তাঁদের ভূমিকার কথা নেপথ্যেই থেকে যায়)। তাঁদের অবদানকেও বিসিসিআই অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে মর্যাদা দিয়ে থাকে।
বিসিসিআই সচিব জয় শাহ বলেন, প্রাক্তনই হোন বা বর্তমান, সব ধরনের ক্রিকেটারই যাতে ভালো থাকেন তা নিশ্চিত করাকে আমরা সব সময় প্রাধান্য দিয়ে আসি। মাসিক পেনশন বৃদ্ধি তারই একটা অঙ্গ। বছরের পর বছর ধরে আম্পায়াররা যেভাবে ভারতীয় ক্রিকেটের সেবা করে এসেছেন তাঁদের অবদানকেও বিসিসিআই মর্যাদা দেয়। বোর্ডের এই পদক্ষেপে প্রায় ৯০০ জন উপকৃত হতে চলেছেন। তাঁদের মধ্যে ৭৫ শতাংশের পেনশন ১০০ শতাংশ বাড়ানো হলো। বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুণ সিং ধুমলের কথায়, বিসিসিআই আজ এখানে পৌঁছেছে প্রাক্তন ক্রিকেটার ও আম্পায়ারদের অবদানের ফলেই। তাঁরা যাতে ভালো থাকেন তা নিশ্চিত করতেই বোর্ডের এই পদক্ষেপ।
বিসিসিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, বর্ধিত পেনশন ১ জুন থেকেই কার্যকর হবে। যাঁদের মাসিক পেনশন ১৫ হাজার টাকা ছিল তা বেড়ে হচ্ছে ৩০ হাজার। যাঁরা প্রতি মাসে ২২,৫০০ টাকা পেনশন পেতেন নতুন ঘোষণায় তাঁরা এবার থেকে পাবেন প্রতি মাসে ৪৫ হাজার টাকা। ৩০ হাজার যাঁরা প্রতি মাসে পেনশন পান তাঁরা পাবেন ৫২,৫০০ টাকা। ৩৭ হাজার ৫০০ টাকার স্ল্যাবে যে পেনশনভোগীরা রয়েছেন তাঁদের পেনশন বেড়ে হলো প্রতি মাসে ৬০ হাজার টাকা। যাঁরা প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা পেনশন পান, তাঁরা এবার থেকে পাবেন প্রতি মাসে ৭০ হাজার টাকা। এদিকে, বিসিসিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, আইপিএলের মিডিয়া স্বত্ব রেকর্ড দরে বিক্রি হওয়ায় আগামী বছর থেকে ক্রিকেটারদের স্যালারি পার্স প্রায় দ্বিগুণ করা হতে পারে। আর্থিকভাবে ক্রিকেটাররাও যাতে লাভবান হন তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলির যে ক্ষতি হয়েছিল তা অনেকটা মিটিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাও করছে বোর্ড।