দ্রাবিড়-রোহিতেই আস্থা গম্ভীরের! আগামী টি ২০ বিশ্বকাপের জন্য কী পরিকল্পনা দরকার? জানালেন লক্ষ্মণ
টি ২০ বিশ্বকাপে আজই শেষ ভারতের অভিযান। ভারতীয় দলে রবি শাস্ত্রী-বিরাট কোহলির জুটিরও বিদায় হচ্ছে আজকেই। আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকেই ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ অবধি কোচ হয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়। এই সময়কালে আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় টি ২০ বিশ্বকাপ ও নিজেদের দেশে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ খেলবে ভারত। নতুন অধিনায়ক হতে চলেছেন রোহিত শর্মাই।
টি ২০ বিশ্বকাপে ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী বছরের টি ২০ বিশ্বকাপের জন্য এখন থেকেই পরিকল্পনা করার রায় দিয়েছেন প্রাক্তনরা। বিসিসিআই থেকে রাহুল দ্রাবিড় সকলেই চাইছেন বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট আকাদেমিতে ডিরেক্টরের পদে বসুন ভিভিএস লক্ষ্মণ। লক্ষ্মণ এখন রয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে, ধারাভাষ্যের কাজে। তিনি এনসিএ প্রধানের দায়িত্ব নেবেন কিনা তা স্পষ্ট হবে আগামী দিনে। তবে আগামী বছরের বিশ্বকাপের কথা ভেবে ভারতীয় দলে কী কী করা দরকার সে বিষয়ে নিজের মতামত লক্ষ্মণ ব্যক্ত করেছেন বিশ্বকাপ সম্প্রচারকারী চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাতকারে। ওই চ্যানেলে নিজের মতামত জানিয়েছেন আরেক প্রাক্তন গৌতম গম্ভীরও।
ভারতীয় দলে কোচ দ্রাবিড়ের জমানার দিকে তাকিয়ে থাকা গম্ভীর বলেছেন, রোহিত শর্মা পাঁচটি আইপিএল খেতাব জিতেছেন, তাঁকেই অধিনায়ক করা উচিত। এর বেশি সাফল্য আর কী-ই হতে পারে? রোহিত আইপিএলে সর্বকালের সেরা অধিনায়ক। আশা করি, রোহিত আর দ্রাবিড় ভারতীয় দলকে সঠিক দিশায় এগিয়ে নিয়ে যাবেন। এমনকী তাঁরা আইসিসি ইভেন্টও জেতাতে পারেন। ১৪-১৫ বছর ধরে আমরা টি ২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হতে পারছি না। ভারতীয় দল ইংল্যান্ডের পথ ধরে এগিয়ে যেতে পারে, টি ২০-তে ইংল্যান্ডের মতো খেলার দক্ষতা ভারতীয় ক্রিকেটারদের রয়েছে। যে ফায়ারপাওয়ার দরকার তা নিউজিল্যান্ড দলেও নেই। রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি, হার্দিক পাণ্ডিয়া ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে পারেন। গম্ভীরের কথায়, কোচ, অধিনায়কের সঙ্গে বিশেষজ্ঞ, সংবাদমাধ্যম ও নির্বাচকদেরও দায়িত্ব রয়েছে। খোলা মনে যাতে ক্রিকেটাররা খেলতে পারেন সেটা নিশ্চিত করা উচিত। বাইরে দাঁড়িয়ে বলা সহজ কীভাবে খেলতে হবে, অনেকে নানা মত দিয়ে থাকেন। কিন্তু যেটা জরুরি সেটা হল ব্যর্থতা বা খারাপ সময়েও দলের, ক্রিকেটারদের পাশে থাকা।
এবারের টি ২০ বিশ্বকাপে হার্দিক পাণ্ডিয়ার ফিটনেস ভারতের ষষ্ঠ বোলারের অপশন নিয়ে বেশ ভুগিয়েছে। পরের টি ২০ বিশ্বকাপে সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন লক্ষ্মণ। তিনি বলেন, হার্দিকের ফিটনেস নিয়ে সমস্যা রয়েছে। বোলিংয়ের ষষ্ঠ বা সপ্তম অপশন থাকলে সেটা অধিনায়কের চাপও কমায়। যিনি দুই ওভারও বল করতে পারেন তেমন ব্যাটার কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় টি ২০ বিশ্বকাপে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারবেন। অস্ট্রেলিয়ায় বল বেশি স্যুইং না করতেও পারে। ফলে দলে এমন বোলার চাই যাঁরা জোরে বোলিং করতে পারেন। জোরে বোলিংয়ের পাশাপাশি যিনি উইকেট থেকে পেস ও বাউন্স আদায় করতে সক্ষম এবং বলে বৈচিত্র্য রয়েছে তেমন ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়ায় সফল হবেন বলে নিশ্চিত লক্ষ্মণ। ঈশান কিষাণের মধ্যে ভারতের টি ২০ দলের ওপেনার হওয়ার দক্ষতা রয়েছে বলে মনে করেন ভিভিএস। কিষাণ যেমন খেলেন তাতে পাওয়ারপ্লে ওভারের ফায়দা নিতে পারবেন। যদিও রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুলের মতো ক্রিকেটার দলে থাকার পর কিষাণকে কীভাবে ব্যবহার করা হবে তা নির্বাচন ও টিম ম্যানেজমেন্টের উপরই ছেড়ে দিয়েছেন লক্ষ্মণ।