মুশফিকুরের অদম্য লড়াইয়ে মিঠুনের সঙ্গত, ফাইনাল লড়াইয়ে পাকিস্তানকে ২৪০-এর লক্ষ্যমাত্রা
আক্ষেপটা রয়েই গেল। ভাগ্যটা শেষ পর্যন্ত সঙ্গ দিল না মুশফিকুর রহিমের। সেই কারণে নড়বড়ে ৯৯ রানেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হল বাংলাদেশের লিটল মাস্টারকে।
আক্ষেপটা রয়েই গেল। ভাগ্যটা শেষ পর্যন্ত সঙ্গ দিল না মুশফিকুর রহিমের। সেই কারণে নড়বড়ে ৯৯ রানেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হল বাংলাদেশের লিটল মাস্টারকে। পাঁজরের হাড় ভাঙা। ব্যাথানাশক ওষুধ খেয়ে নেমেছিলেন মুশফিকুর। কিন্তু শাহিন আফ্রিদির বলে উইকেট রক্ষকের হাতে ধরা পড়ে গেলেন সরফরাজ খান।
বাংলাদেশ টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে শুরু করেছিল। সেই অবস্থা থেকে বাংলাদেশকে টেনে তোলেন মুশফিকুর রহিম ও মহম্মদ মিঠুন। দু-দলের মাস্ট উইন ম্যাচে বাংলাদেশের লড়াই থামল না। মিঠুন ব্যক্তিগত ৬০ রানের মাথায় আউট হন। তখন দল ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। ১৪৪ রান করে যায় মুশফিকুর-মিঠুন জুটি।
মিঠুনের ফিরে যাওয়ার পরই ১০ বলে ৯ রান করে ফিরে যান ইমরুল কায়েস। কিন্তু একদিকে মুশফিকুরের লড়াই চলতেই থাকে। ব্যক্তিগত ৯৯ রানে মুশফিকুর ফিরে যাওয়ার সময়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১৯৭ উইকেটে। তারপর অবশ্য ৪২ রানের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় তাঁদের ইনিংস।
পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারলেন না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ১ ওভার ১ বল বাকি থাকতেই বাংলাদশের ইনিংস শেষ। ৪৮.৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৯ রান। অর্থাৎ পাকিস্তানের কাছে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২৪০ রান। এশিয়া কাপে ফাইনালের টিকিট পেতে পাকিস্তানকে করতে হবে ওই রান।
ভারত ইতিমধ্যেই এশিয়া কাপ ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে। এদিনের পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ আদতে রূপ নিয়েছে সেমিফাইনালের। সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ২৪০-এর লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে। তার মধ্যে পাকিস্তানকে আটকে রাখতে পারলে তাঁদের কাছে এশিয়া কাপ ফাইনালের টিকিট চলে আসবে।