
কাজে এল না চোট পাওয়া রোহিত শর্মার মরিয়া লড়াই, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজে হার ভারতের
রোহিতের দুরন্ত লড়াইয়েও জয় এল না ভারতের। শেষ পর্যন্ত খালি হাতেই ফিরতে হল ভারতকে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওডিআই ম্যাচে ৫ রানে পরাজিত হল ভারত। এই হারের ফলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ পকেটে পুরে নিল ভারত। এই ম্যাচে হাতে চোট নিয়েও দুরন্ত লড়াই চালান রোহিত শর্মা, কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলেন না দলকে জেতাতে।

এই ম্যাচটি ভারত হারলেও স্মরণীয় হয়ে থাকবে রোহিত শর্মার জন্য। হাতে প্রচণ্ড যন্ত্রণা নিয়েও যে ভাবে দলের স্বার্থে দেশকে জয় এনে দেওয়ার জন্য নিজেকে উজাড় করে দিলেন রোহিত তার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।
বাংলাদেশের দেওয়া ২৭২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে ভারত। রোহিত শর্মা আঙুলে চোট পাওয়ার কারণে ওপেন করতে পারেননি। তাঁর পরিবর্তে শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে ওপেন করেন বিরাট কোহলি। কিন্তু এই দুই ওপেনার ব্যর্থ হয়েছেন। শিখর ধাওয়ান আউট হন ৮ রানে, বিরাট কোহলি ৫ রানে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ঢুকতে থাকা ভারতীয় ইনিংসের হাল ধরেন শ্রেয়স আইয়ার। কিন্তু অপর দিক থেকে উইকেট হারানোর ফলে কাজটা ক্রমশ সহজ হতে থাকে বাংলাদেশের জন্য। ওয়াশিংটন সুন্দর আউট হল ১১ রানে, ১৪ রানে আউট হন কে এল রাহুল। এই অবস্থায় অক্ষর প্যাটেলের সঙ্গে জুটি বেঁধে ভারতে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালান শ্রেয়স আইয়ার। তবে, শেষ পর্যন্ত কাজ সম্পূর্ণ করতে তিনি পারেননি। ৮২ রানে মেহদি হাসান মিরাজের বলে আউট হয়ে তিনি ফেরেন প্যাভিলিয়নে।
শ্রেয়সের উইকেট পড়ার সঙ্গেই ফের একই ঘটনার সূত্রপাত হয়। আবারও নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে ভারত। শ্রেয়সের পরেই ৫৬ রান করে আউট হন অপর সেট ব্যাটসম্যান অক্ষর প্যাটেল। ভারতীয় দল যখন হারের কিনারায় দাঁড়িয়ে তখন হাতে চোট নিয়েই ব্যাটিং করতে নামেন রোহিত শর্মা। প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করার লক্ষ্য নিয়ে রোহিত ব্যথাকে উপেক্ষা করে নেমেছিলেন ক্রিজে। একার হাতে কার্যত জয়ের দোড় গোড়ায় ভারতকে এনে দেন তিনি। হিট ম্যানের পাওযার হিটিং-এর সামনে তখন নাজেহাল বাংলাদেশের বোলিং। রোহিত শর্মা ২৮ বলে ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ৫টি ছয় এবং ৩টি চার দিয়ে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস, স্ট্রাইক রেট ছিল ১৮২.১৪। তবুও শেষ পর্যন্ত পাঁচ রানে দলের হার আটকাতে পারেননি তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে ৩টি উইকেট নেন এবাদত হোসেন, দুইটি করে উইকেট নেন মেহদি হাসান মিরাজ এবং শাকিব আল হাসান, একটি করে উইকেট পান মুস্তাফিজুর রহমান এবং মাহমদুল্লাহ।