বিসিসিআইয়ের ডাকে নির্বাচক হতে সাড়া দিলেন কোন প্রাক্তনরা? পূর্বাঞ্চল থেকে দৌড়ে কে?
টি ২০ বিশ্বকাপে ব্যর্থতার জেরে চেতন শর্মার নেতৃত্বাধীন নির্বাচকমণ্ডলীকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই। নির্বাচক হওয়ার জন্য আবেদন করার সময়সীমা ধার্য ছিল আজ পর্যন্ত। নতুন নির্বাচকমণ্ডলী চূড়ান্ত হওয়া অবধি চেতনরাই দায়িত্ব সামলাবেন। আবেদনকারীদের ইন্টারভিউ নেওয়ার প্রক্রিয়া দ্রুতই শুরু করতে চলেছে বিসিসিআই।
নির্বাচক হওয়ার দৌড়ে কারা?
যে আবেদনগুলি জমা পড়েছে তার ভিত্তিতে একটি জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইটের দাবি, নির্বাচক হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন লক্ষ্মণ শিবরামকৃষ্ণন, নয়ন মোঙ্গিয়া, মনিন্দর সিং, হেমাঙ্গ বাদানি, শিবসুন্দর দাস, অজয় রাতরা। আবেদনকারীদের ইন্টারভিউ নেবে ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটি। তারপরই ঘোষিত হবে ভারতের সিনিয়র দলের নির্বাচকদের নাম। নতুন নির্বাচকরা দেশের মাটিতে আগামী বছরের গোড়ায় অনুষ্ঠেয় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতের সাদা বলের সিরিজের দল ঘোষণা করবেন। চেতন শর্মার নেতৃত্বাধীন নির্বাচকমণ্ডলীতে থাকা নির্বাচকরা এখন বিজয় হাজারে ট্রফি ও কোচবিহার ট্রফির ম্যাচগুলির দিকে নজর রাখছেন।
লক্ষ্মণের আবেদন
লক্ষ্মণ শিবরামকৃষ্ণন এর আগেও জাতীয় নির্বাচক হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু চেতন শর্মা তাঁকে টেক্কা দেন এবং নির্বাচকমণ্ডলীর প্রধান হয়ে যান। পূর্বাঞ্চল থেকে আবেদন করেছেন ওডিশার প্রাক্তন ক্রিকেটার শিবসুন্দর দাস, যিনি এই মুহূর্তে পাঞ্জাবের ব্যাটিং কোচ। এর আগে ন্যাশমাল ক্রিকেট আকাদেমির অন্যতম কোচ ছিলেন দাস, ভারতীয় মহিলা দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্বও সামলেছেন প্রাক্তন ভারতীয় এই ওপেনার।
|
পূর্বাঞ্চল থেকে শিবসুন্দর
চেতন শর্মার নির্বাচকমণ্ডলীতে পূর্বাঞ্চল থেকে ছিলেন দেবাশিস মোহান্তি, তিনিও ওডিশার। শিবসুন্দর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন। দেবাশিস মোহান্তি আগে জুনিয়র ক্রিকেটের নির্বাচক ছিলেন, নির্বাচক হিসেবে পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেছেন। নির্বাচক হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন হেমাঙ্গ বাদানি, যিনি আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দলের সঙ্গে যুক্ত এবং তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগে পরপর তিনবার খেতাবজয়ী চিপক সুপার গিলিস দলের হেড কোচের দায়িত্ব সামলেছেন। চেতন শর্মা, সুনীল যোশী এবং হরবিন্দর সিংয়ের কাছে ফের নির্বাচক হওয়ার জন্য আবেদন করার সুযোগ ছিল। তবে তাঁরা সেই পথে হাঁটেননি বলেই মনে করা হচ্ছে। পশ্চিমাঞ্চলের নির্বাচক হিসেবে আবে কুরুভিল্লার মেয়াদ ফুরানোর পর গত এক বছরে কাউকে নিয়োগ করা হয়নি।
|
নয়ন মোঙ্গিয়া ফেভারিট?
আবেদনকারীদের মধ্যে অনেকের চেয়েই এগিয়ে নয়ন মোঙ্গিয়া ভারতীয় দলের জুনিয়র ও সিনিয়র পর্যায়ে নির্বাচকের দায়িত্ব সামলেছেন। বরোদার মোঙ্গিয়া ৪৪টি টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিক খেলেছেন। মুম্বই থেকে সমীর দিঘে, সলিল আঙ্গোলা, উত্তরপ্রদেশের জ্ঞানেন্দ্র পাণ্ডেও নির্বাচক হতে চেয়ে আবেদন করেছেন। তবে অজিত আগরকার থেকে শুরু করে দীপ দাশগুপ্ত, লক্ষ্মীরতন শুক্লার মতো প্রাক্তন ক্রিকেটাররা নির্বাচক হওয়ার জন্য আবেদন করেননি। শুক্লা এই মুহূর্তে বাংলা দলের কোচ। দীপ ধারাভাষ্যকারের ভূমিকা পালন করছেন। নির্বাচক পদে আবেদনের জন্য বিসিসিআই শর্ত দিয়েছিল আবেদনকারীকে সাতটি টেস্ট অথবা ৩০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ বা ১০টি একদিনের আন্তর্জাতিক এবং ২০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অন্তত পাঁচ বছর আগে অবসর নিয়েছেন এবং বয়স ৬০-এর বেশি নয়, এমন প্রাক্তনরাই আবেদনের যোগ্য। নির্বাচকমণ্ডলীতে থাকবেন দেশের পাঁচ অঞ্চলের পাঁচজন, তাঁদের একজন হবেন নির্বাচক প্রধান।