PAK vs AUS: ভিভ রিচার্ডস-বিরাট কোহলির মতো মহানক্ষত্রকে পিছনে ফেলে দিলেন বাবর আজম
PAK vs AUS: ভিভ রিচার্ডস-বিরাট কোহলির মতো মহানক্ষত্রকে পিছনে ফেলে দিলেন বাবর আজম
দুর্দান্ত নজির গড়লেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে লাহোরের গাড্ডাফি স্টেডিয়ামে কঠিন উইকেটে ব্যাটিং দক্ষতার ঝলক দেন বাবর, খেলেন ৫৭ রানের ইনিংস।
অ্যারন ফিঞ্চের দলের বিরুদ্ধে এই ইনিংসের সৌজন্যে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুততম চার হাজার রান করার ক্ষেত্রে কিংবদন্তি ভিভিয়ান রিচার্ডস এবং প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে পিছনে ফেলে দিলেন বাবর। একদিনের ক্রিকেটে চার হাজার রান স্পর্শ করতে বাবর আজমের আগলো ৮২টি ইনিংস। যা তাঁকে দ্রততাম পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান করে তুলেছে এই নজির স্পর্শের বিষয়ে।
শুধু পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের মধ্যেই নয়, আন্তর্জাতিক আঙিনায় বাবর দ্রুততম চার হাজাররান সংগ্রহকারীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন। এর ফলে বাবর পিছনে ফেলে দিয়েছেন ভিভ রিচার্ডস (৮৮ ইনিংস), জো রুট (৯১ ইনিংস), বিরাট কোহলি (৯৩ ইনিংস), ডেভিড ওয়ার্নার (৯৩ ইনিংস), কুইন্টন ডি কক (৯৪ ইনিংস), শিখর ধাওয়ান-এর (৯৫ ইনিংস) মতো তারকাকে। মাত্র এক ইনিংসের জন্য তিনি যৌথ ভাবে শীর্ষ স্থান দখল করতে পারলেন না। হাসিম আমলা এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন ৮১ ইনিংসে। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন তিনিই।
বাবরের পাশাপাশি ব্যাট হাতে এ দিন দুর্দান্ত পারফর্ম করেন ওপেনার ইমাম উল হক। ১০৩ রানের ইনিংস খেলেন ইমাম। তবে, কাজে আসেনি এই দুই ক্রিকেটারের ইনিংস-ই। দলের বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় লজ্জার হার স্বীকার করতে হয় পাকিস্তানকে।
মঙ্গলবারের এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ওভারে ৩০৩/৭ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। শতরান করেন ট্রাভিস হেড (১০১)। এছাড়া রান পেয়েছেন বেন ম্যাকডেরমট (৫৫), ক্রিস গ্রিন (৪০)। পাকিস্তানের হয়ে দু'টি করে উইকেট পান জাহিল মাহমুদ এবং হ্যারিস রউফ।
পাকিস্তানের দেওয়া বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে একের পক এক উইকেট হারানোও চাপ বাড়ে পাকিস্তানের উপর। ইমাম এবং বাবর ছাড়া পাকিস্তানের কোনও ব্যাটসম্যান রান পাননি এই ম্যাচে। অ্যাডাম জাম্পা'র সামনে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন। এই ম্যাচে দু'টি করে উইকেট পান মিচেল সোয়েপসন এবং ট্র্যাভিস হেড। একটি করে উইকেট পেয়েছেন নাথান এইলিস এবং সিন অ্যাবট। তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে যাওয়ায় চাপ বাড়ল পাকিস্তানের উপর। সিরিজের প্রতিটা ম্যাচই খেলা হবে গাড্ডাফি স্টেডিয়ামে। পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট আশাবাদী ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়ে।