বিশ্বকাপ জেতার জন্য ভারতের দ্বিতীয় সারির দলই যথেষ্ট, এশিয়ার জায়ান্টের ক্ষমতার নজিরবিহীন প্রশংসা ব্রিটিশ তারকার
বিশ্বকাপ জেতার জন্য ভারতের দ্বিতীয় সারির দলই যথেষ্ট, এশিয়ার জায়ান্টের ক্ষমতার নজিরবিহীন প্রশংসা ব্রিটিশ তারকার
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন স্পিনার গ্রেম সোয়ান মনে করেন অস্ট্রেলিয়ায় টি-২০ বিশ্বকাপ জেতার জন্য ভারত দ্বিতীয় সারির দল পাঠালেও চলবে। সেই দলেরই ক্ষমতা রয়েছে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার।
ভারতের বেঞ্চ স্ট্রেন্ট এখন গোটা বিশ্বের সামনে রয়েছে। দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে আয়ারল্যান্ডকে সিরিজে পরাজিত করার পর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টি-২০ ম্যাচেও দাপুটে জয় পেয়েছে ভারত। বিরাট কোহলি- ঋষভ পন্থের অনুপস্থিতিতে সূর্যকুমার যাদব- দীপক হুডারা দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে। জসপ্রীত বুমরাহের অভাব বুঝতে দেননি তরুণ পেসার অর্শদীপ সিং।
এই সিরিজের ধারাভাষ্যেকারের ভূমিকা পালন করা সোয়ান সোনি স্পোর্টসকে বলেছেন, "ভারতের উচিৎ তাদের 'বি' টিমকে পাঠানো অস্ট্রেলিয়ায় এবং তারাই হয়তো বিশ্বকাপ জিতে আনবে।" সোয়ান জানিয়েছেন, যেই দলটি বৃহস্পতিবার পরাজিত করেছে ইংল্যান্ডকে, সেই দলটির ক্ষমতা রয়েছে আবারও ইংল্যান্ডকে হারানোর। জস বাটলার এবং তাঁর দলের জন্য সুখবর হল যে উইনিং কম্বিনেশনে পরিবর্তন আসছে। তাঁর কথায়, "আমার মনে হয় এই এক ঝাঁক ক্রিকেটারকে তুলে আনাটা দারুণ কৌশল। তোমার কাছে উইনিং ইলেভন রয়েছে এবং সেটাই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচতে সম্পূর্ণ বদলাতে চলেছে। দয়া করে ভারত এটা করুক (দ্বিতীয় সারির দলকে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠাক বিশ্বকাপ খেলার জন্য) আমি চাই। এই দলটাই দুই দিনের মধ্যে দ্বিতীয় বার ইংল্যান্ডকে পরাজিত করতে পারে। আপনি যদি এই দলে (জসপ্রীত) বুমরাহ, (বিরাট) কোহলি এবং (ঋষভ) পন্থ ঢোকান তা হলেও যে দলটি এত ভাল খেলল তার ভারসাম্য নষ্ট হবে। অবশ্যই তাঁরা দলে ফিরে আসবেন কারণ তাঁরা এমনই মানের ক্রিকেটার। কিন্তু ইংল্যান্ড অবশ্যই চাইবে কোনও ভাবে রিদিমটা ভাঙুক।"
টি-২০ সিরিজের পর রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজ খেলবে। নির্ধারিত ওভারের সিরিজের আগে গত বছর কোভিডের কারণে স্থগিত হয়ে যাওয়া পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচটি খেলে ভারত। কোভিডের কারণে রোহিত না থাকায় সহ অধিনায়ক জসপ্রীত বুমরাহের নেতৃত্বে এজবাস্টনে পঞ্চম টেস্টে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত এবং ইংল্যান্ড। ওই টেস্টে ভারতীয় দলকে সাত উইকেটে পরাজিত করে সিরিজে সমতা ফিরিয়ে এনেছিল ইংল্যান্ড। সিরিজটি ড্র হয় ২-২ ব্যবধানে।