IPL 2021: দিল্লি ক্যাপিটালসের জয়েও সন্তুষ্ট নন শ্রেয়স! স্টইনিস চিন্তা বাড়ালেন অস্ট্রেলিয়ার
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে রিকি পন্টিংয়ের প্রশিক্ষণাধীন দিল্লি ক্যাপিটালসের জয়ে টি ২০ বিশ্বকাপের চিন্তায় রইল অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যর্থতা যদি তার একটি কারণ হয় তবে দ্বিতীয়টি অবশ্যই তারকা অলরাউন্ডারের চোট। যদিও শ্রেয়স আইয়ারের কামব্যাক ম্যাচ স্বস্তিতে রাখছে বিরাট কোহলির ভারতকে।
দুবাইয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলটি করেই মাঠ ছাড়তে হয় মার্কাস স্টইনিসকে। দিল্লি ক্যাপিটালস ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে যাওয়ায় তাঁকে ব্যাট হাতে নামতে হয়নি। কিন্তু ওভার অসম্পূর্ণ রেখে স্টইনিস যেভাবে মাঠ ছেড়েছিলেন তা দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে অজিদের জন্য। কেন না, টি ২০ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ ২৩ অক্টোবর। তার মাসখানেক আগে স্টইনিসের যদি হ্যামস্ট্রিংয়েই চোট লেগে থাকে তাহলে তা চিন্তা বাড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট। সেই চোট কতটা গুরুতর সেদিকেই সকলের নজর।
Not what we wanted to see 😢@MStoinis has left the field after what seemed like a calf issue. We hope it isn't anything serious 🤞🏼💙#YehHaiNayiDilli #IPL2021 #DCvSRH pic.twitter.com/IqFzeeyGzo
— Delhi Capitals (@DelhiCapitals) September 22, 2021
আইপিএল স্থগিতের পর এই প্রথম কোনও ম্যাচ খেললেন ডেভিড ওয়ার্নার, মার্কাস স্টইনিস। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় প্রি সিজন ট্রেনিংয়ের সময় পিঠে চোট লেগেছিল স্টইনিসের। কিন্তু এদিন তিনি প্রথম ওভার সম্পূর্ণ করলেও যখন চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন তা দেখে এই চোট হ্যামস্ট্রিংয়ের বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ সফর থেকেও সরে দাঁড়িয়েছিলেন স্টইনিস, আইপিএলকেই টি ২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্যে। স্টইনিস বিগ ব্যাশে মেলবোর্ন স্টারসের হয়ে ওপেন করলেও রিকি পন্টিংয়ের কোচিংয়ে নিজেকে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিনিশার হিসেবে প্রস্তুত করতে চাইছিলেন। স্টইনিসের চোটের পাশাপাশি ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যর্থতাও চিন্তার কারণ। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দলে কামব্যাক করলেও এই ম্যাচে তিন বলে শূন্য রানে ফিরেছেন অজি ওপেনার।
Simply magical tonight ✨ https://t.co/9HcIZly2iu
— Delhi Capitals (@DelhiCapitals) September 22, 2021
তবে ভারতকে স্বস্তি দিচ্ছে শ্রেয়স আইয়ারের ফর্ম। কাঁধের চোটের কারণে আইপিএলের প্রথমার্ধে খেলতে পারেননি। কামব্যাক ম্যাচে দলের হয়ে সর্বাধিক রান করলেন শ্রেয়স। দুটি করে চার ও ছয় মেরে ৪১ বলে ৪৭ রান করলেন, দুটি বড় পার্টনারশিপ গড়লেন শিখর ধাওয়ান ও অধিনায়ক ঋষভ পন্থের সঙ্গে। পন্থ ২১ বলে ৩৫ রান করলেন যা টি ২০ বিশ্বকাপের আগে তাঁরও আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট। ধাওয়ানের সঙ্গে ৫২ রানের পার্টনারশিপের পর পন্থের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য ৪২ বলে ৬৭ রানের পার্টনারশিপ শ্রেয়সের। তাতেও অবশ্য নিজে সন্তুষ্ট নন দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রাক্তন অধিনায়ক। শ্রেয়স বলেন, রানের খিদে বেড়ে গিয়েছে বলে আমি যে এই ইনিংসের পর সন্তুষ্ট সে কথা বলব না। প্রতি ম্যাচের সঙ্গেই সেই খিদে বাড়বেই। ঋষভের নেতৃত্বের প্রশংসাও করেছেন তিনি। চাপের মুখে চ্যালেঞ্জ নিয়ে খেলতে ভালোবাসেন। সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচের শেষ অবধি টিকে থাকার লক্ষ্য নিয়েই যে ব্যাট করতে নেমেছিলেন, সে কথাও জানাতে ভোলেননি ভারতের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।