অ্যাশেজে বিরাট লজ্জা! অ্যাডিলেড ওভালে বিধ্বস্ত ইংল্যান্ড
প্রথম টেস্টের পর অ্যাশেজের দ্বিতীট টেস্টেও বড় জয় পেল অস্ট্রেলিয়া। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড'কে রেকর্ড ২৭৫ রানে পারস্থ করল ক্যাঙ্গারু বাহিনী।
ব্রিসবেনের গাব্বায় প্রথম টেস্টে বড় জয় পাওয়ার পর অ্যাডিলেড টেস্ট'কে পাখির চোখ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের অনুপস্থিতিতে দ্বিতীয় টেস্টে দায়িত্ব যায় স্টিভ স্মিথের হাতে। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক অ্যাশেজে মতো ঐতিহ্যশালী সিরিজে অধিনায়ক হিসেবে কোনও ভুল করেননি। শুধু অধিনায়ক হিসেবেই নয় ব্যাট হাতেও এই টেস্টে পুরনো ছন্দে পাওয়া গিয়েছে স্মিথ'কে।
১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া টেস্টে টসে জিতে ব্যাটিং-এর সিদ্ধান্ত নেন স্মিথ। প্রথম ইনিংসে ডেভিড ওয়ার্নার, মার্নাস লাবুসচানে এবং স্টিভ স্মিথের চওড়া ব্যাটের উপর ভর করে ৯ উইকেটে ৪৭৩ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নার করেন ৯৫ এবং স্টিভ স্মিথের ব্যাট থেকে আসে ৯৩ রান। ১০৩ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অস্ট্রেলিয়া'র ইনিংস'কে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করানো মার্নান লাবুসচানে।
টপ অর্ডারের এই তিন ব্যাটসম্যান ছাড়া রান পেয়েছেোন উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি (৫১), মিচেল স্টার্কা (৩৯) এবং মিচেল নেসির (৩৫)। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি উইকেট নেন বেন স্টোকস। জিমি অ্যান্ডারসন পান দু'টি উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার ৪৭৩ রানের জবাবে ২৩০ রানে শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। ডেভিড মালান (৮০) এবং জো রুট (৬২) ছাড়া কোনও ইংলিশ ব্যাটসম্যান অস্ট্রেলিয়ার বোলিং লাইআপের সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি এই ইনিংসে। মিচেল স্টার্ক একাই চারটি উইকেট নেন। ন্যাথন লিয়ঁ নিয়েছেন তিনটি উইকেট।
২৪৩ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস-এ মাঠে নামা অজি ব্যাটসম্যানরা ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি। লবুসচানে এবং ট্রাভিস হেড ছড়া কেউ এই ইনিংসে বড় রান পাননি। হেড এবং লবুসচানে দু'জনেই ৫১ রানের ইনিংস খেলেছেন। ওয়ার্নার-স্মিথ'রা ব্যর্থ হলেও বড় রানের লিডের সুবাদে সমস্যা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। ২৩০/৯ রানে ইনিং ঘোষণা করে স্মিথ ব্রিগেড। জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের সামনে ৪৭৩ রানের টার্গেট সেট হয়। খাতায় কলমে তা অসম্ভব না হলেও অ্যাডিলেডে তিন দিন খেলার পর এই রান তাড়া করা কার্যত অসম্ভব ছিল। অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায় যদি দলের মধ্যে জেদটা দৃঢ় থাকে। কিন্তু যে দলটা শুরুতেই বড় রানে পিছিয়ে পড়েছে তাদের পক্ষে মানসিক দৃঢ়তা বজায় রাখাটা কঠিন। জে রিচার্ডসন-মিচেল স্টার্কের দাপটে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস হয়ে যায় ১৯২ রানে। রিচার্ডসন এই ইনিংসে পাঁচটি উইকেট পেয়েছেন। অপর দিকে, প্রথম ইনিংসে শতরান এবং দ্বিতীট ইনিংসে অর্ধশতরানের সৌজন্যে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন মার্নাস লাবুসচানে।