লজ্জার রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ড ৬৮! মেলবোর্নে অ্যাশেজ জয় নিশ্চিত অস্ট্রেলিয়ার, অভিষেকেই চমক বোল্যান্ডের
দুই টেস্ট বাকি থাকতেই ইংল্যান্ডের পরাজয়ের হ্যাটট্রিক সেরে অ্যাশেজ জয় নিশ্চিত করে ফেলল অস্ট্রেলিয়া। মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্ট জিততে প্য়াট কামিন্সের দলের পুরো তিন দিনও লাগল না। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ মাত্র ৬৮ রানে। তৃতীয় টেস্ট অজিরা জিতল ইনিংস ও ১৪ রানে। অভিষেক টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা স্কট বোল্যান্ড।

ইংল্যান্ড ৬৮
দ্বিতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ১২ ওভারে ৪ উইকেটে ৩১ রান। আজ বাকি ৬ উইকেট পড়ল মাত্র ১৫.৪ ওভারে। ২৭.৪ ওভারে ৬৮ রানেই গুটিয়ে গেল ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস। ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট ও বেন স্টোকস ছাড়া কারও রান দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছায়নি। রুট ২৮ ও স্টোকস ১১ রান করেন। মাত্র ২২ রানের মধ্যে শেষ ৬ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। শেষ ৬ উইকেট পড়ে মাত্র আট রানের ব্যবধানে।

বিধ্বংসী বোল্যান্ড
গতকাল হাসিব হামিদ ও জ্যাক লিচের উইকেট তুলে নিয়েছিলেন স্কট বোল্যান্ড। এই ম্যাচেই তাঁর অভিষেক হয়। আজ আরও চার উইকেট নেওয়ায় তাঁর বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ৪ ওভার ১ মেডেন ৭ রানে ৬ উইকেট। ১০ ওভারে ৩টি মেডেন-সহ ২৯ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট দখল করেন মিচেল স্টার্ক। ক্যামেরন গ্রিন একটি উইকেট পেয়েছেন। প্রথম ইনিংসে এক উইকেট পাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরার পুরস্কারটি পেয়েছেন বোল্যান্ড। ২১টি বলের মধ্যে তিনি ৬ উইকেট নেন।

লজ্জার নজির
৬৮ রানে অল আউট হওয়ায় বেশ কয়েকটি লজ্জার নজিরও গড়ল ইংল্যান্ড। ১৯০৪ সালের অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এই প্রথম এতো কম রানে গুটিয়ে গেল ইংল্যান্ডের ইনিংস। অ্যাশেজ সিরিজের নিরিখে ১৯৩৬ সালের পর এটিই ইংল্যান্ডের সর্বনিম্ন স্কোর। মার্ক উড ও অলি রবিনসন শূন্য রানে আউট হওয়ায় চলতি বছর টেস্টে ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা ৫৪ বার খালি হাতে ফিরলেন। ১৯৯৮ সালেও ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা ৫৪ বার শূন্যে আউট হয়েছিলেন। সে বছর ইংল্যান্ড ১৬টি টেস্ট খেলেছিল, এবার খেলল ১৫টি টেস্ট। নিজের বলেই মার্ক উডের ক্যাচ নিয়ে টেস্টে প্রথমবার পাঁচ উইকেট পেলেন বোল্যান্ড।

চাপে রুট
ভারতে এসে টেস্ট সিরিজ পরাজয়, দেশের মাটিতে বিরাট কোহলিদের বিরুদ্ধে ১-২ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকার পর অ্যাশেজে টানা তিনটি টেস্টে পরাজয়। জো রুটের অধিনায়কত্ব নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে আতসকাঁচের তলায় পরিসংখ্যান ও পারফরম্যান্স রেখে। তবে রুট চলতি বছর বিশ্বে টেস্টে সর্বাধিক রানই করলেন। যদিও মাত্র ২ রানের জন্য ভাঙতে পারলেন না ভিভ রিচার্ডসের রেকর্ড। বোল্যান্ডের বলে ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। এতে চলতি বছর তাঁর রান দাঁড়াল ১৭০৮। মহম্মদ ইউসুফের বিশ্বরেকর্ডের চেয়ে ৮০ রান দূরে থামলেন তিনি। ২০০৬ সালে পাকিস্তানের ইউসুফ ১১ টেস্টে ১৭৮৮ রান করেছিলেন। ১৯৭৬ সালে ভিভ রিচার্ডস করেছিলেন ১৭১০ রান, ১১টি টেস্টে। রুট ১৫ টেস্টে এ বছর করলেন ১৭০৮।