বিরাট কোহলির ইঙ্গিতবাহী নয়া বার্তা শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে, বিতর্কের বাউন্সার কীভাবে দেখছে বিসিসিআই?
বিরাট কোহলি রানের মধ্যে ফিরেছেন। আর তারপরই তাঁর একের পর এক বিবৃতি নিয়ে জোর চর্চা ভারতীয় ক্রিকেট মহলে। রবিবার ভারত পাকিস্তানের কাছে হারার পর সাংবাদিক বৈঠকে বিরাট দাবি করেন, তিনি টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। এরপর আজ শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে ইঙ্গিতবাহী বার্তা দিলেন ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে।
বিরাটের নয়া বার্তা
বিরাট কোহলি আজ দুপুর নাগাদ ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে যা লেখেন তা হুবহু তুলে দেওয়া হলো- "Notice the people who are happy for your happiness, and sad for your sadness. They're the ones who deserve special places in your heart."- যার অর্থ হলো যাঁরা তোমার সুখে আনন্দ পায় এবং দুঃখের সময় দুঃখ অনুভব করেন তাঁদের প্রতিই লক্ষ্য রাখুন। এঁরাই সেই মানুষজন যাঁরা তোমার হৃদয়ে বিশষ স্থান পাওয়ার যোগ্য।
বিস্ফোরক দাবি
বিরাট কোহলি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৪৪ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। সেদিন ভারতীয়দের মধ্যে সেরা পারফর্মার। সেই কারণেই রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে পাঠানো হয়েছিল কিং কোহলিকে। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সেখানে বলেছিলেন, আমি টেস্টের অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর শুধু একজনের থেকেই বার্তা পেয়েছিলাম। যাঁর সঙ্গে আমি খেলেওছি। তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনি। অনেকের কাছেই আমার নম্বর ছিল। অনেকে আমাকে নানা ধরনের পরামর্শও দিয়ে থাকেন। অনেকে টিভিতে আমার খেলার বিষয় নিয়ে কথাও বলেন। কিন্তু আমার ফোন নম্বর যাঁদের কাছে আছে, একমাত্র ধোনি ছাড়া কারও বার্তা আমি পাইনি। ফলে যাঁরা বিরাটকে বার্তা দেননি বলে দাবি তাঁদের প্রতি অভিমান থাকলেও বিষয়টিকে খুব গুরুত্বও দিতে চাননি বিরাট।
ধোনি বাদে কারও নাম বলেননি
যদিও এশিয়া কাপের মতো টুর্নামেন্টে বিরাটের এমন কথা বলা উচিত হয়নি বলে মন্তব্য করেন সুনীল গাভাসকর। তিনি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলেন, ভারতীয় ড্রেসিংরুমের আবহ সম্পর্কে ধারণা নেই। তবে বিরাটকে যাঁরা বার্তা দেননি তাঁদের নামও প্রকাশ করা উচিত ছিল। যদিও তার ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের ইঙ্গিতবাহী বার্তা দিলেন বিরাট। অনেকেই মনে করছেন, বিরাটের প্রেস কনফারেন্সের বক্তব্যটির সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম স্টোরির বার্তার যোগ রয়েছে।
নজর রাখছে বিসিসিআই
বিরাট কোহলি এর আগেও ওয়ান ডে ক্যাপ্টেন্সি থেকে তাঁকে সরানো নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে। এমনকী সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে মিথ্যা প্রতিপন্ন প্রমাণেও পিছপা হননি। যদিও বিসিসিআই সভাপতি-সহ বোর্ডের আধিকারিকরা বিষয়টিকে ভালোভাবেই সামলেছিলেন। গত টি ২০ বিশ্বকাপের আগে টি ২০ ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার যে সিদ্ধান্ত বিরাট নিয়েছিলেন তা খুব ভালোভাবে নেননি বোর্ডকর্তারা। বিরাটের ঘোষণায় ভারতের ফোকাস সরার তত্ত্বও সামনে আসে। এবারও টি ২০ বিশ্বকাপের আগে রানে ফিরে বিরাট একের পর বিবৃতি দিচ্ছেন। বিরাট যে ধোনিকে নিয়ে নয়া দাবি করেছেন তাতে সায় নেই বিসিসিআইয়ের। এক আধিকারিক পাল্টা দাবি করেছেন, বিরাটের পাশে সব সময় থেকেছে বোর্ড। তিনি ব্যাট হাতে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যখন যাচ্ছিলেন তখনও। এমনকী তিনি ইংল্যান্ড সফরের পর যে কয়েক সপ্তাহের ছুটি চান তাতেও সম্মতি দিয়েছিল বিসিসিআই। ফলে বিসিসিআই সর্বতোভাবেই বিরাটের পাশে রয়েছে। তারপরেও কেন তিনি এমন কাণ্ডকারখানা ঘটিয়ে চলেছেন তা বোধগম্য হচ্ছে না বিসিসিআইয়ের।
সূর্যকুমার যাদব ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন পাকিস্তানের ওপেনারদের! বাবর আজম কি সিংহাসন ছাড়তে বাধ্য হবেন?