এশিয়া কাপে সফলতম ভারত কোন কোন বছরে চ্যাম্পিয়ন? টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটার কারা হয়েছেন?
এশিয়া কাপ শুরু হচ্ছে ২৭ অগাস্ট থেকে। ২৮ তারিখ ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ। এবারের টুর্নামেন্টে ভারত ও পাকিস্তান ফাইনালে উঠলে এই দুই দেশ তিনবার পরস্পরের মুখোমুখি হতে পারে। ২০১৬ সালের পর এবারই প্রথম এশিয়া কাপ হচ্ছে টি ২০ ফরম্যাটে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক কিছু উল্লেখযোগ্য পরিসংখ্যান।
সফলতম ভারত
১৯৮৪ সাল থেকে ধরলে এশিয়া কাপ একদিনের আন্তর্জাতিকের ফরম্যাটে হয়েছে ১৩ বার। একবার হয়েছে টি ২০ ফরম্যাটে। ভারত একদিনের আন্তর্জাতিকের ফরম্যাটে এশিয়া কাপ জিতেছে ৬ বার (১৯৮৩-৮৪, ১৯৮৮-৮৯, ১৯৯০-৯১, ১৯৯৪-৯৫, ২০১০ ও ২০১৮ )। ২০১৮ সালে সর্বশেষ এশিয়া কাপে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশকে হারিয়ে। ১৯৮৫-৮৬ মরশুমে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে খেলেনি ভারত। আবার ১৯৯০-৯১ মরশুমে যে এশিয়া কাপ ভারতে হয়েছিল তাতে পাকিস্তান খেলেনি।
ভারতের পরেই শ্রীলঙ্কা
এশিয়া কাপ জয়ের নিরিখে ভারতের পরেই রয়েছে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপ জিতেছে ৫ বার (১৯৮৫-৮৬, ১৯৯৭, ২০০৪, ২০০৮, ২০১৩-১৪)। ২০০০ সালের পর ২০১১-১২ মরশুমের এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান। এশিয়া কাপের সর্বশেষ দুটি সংস্করণেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
টি ২০ ফরম্যাটে
এশিয়া কাপ একমাত্র ২০১৬ সালেই টি ২০ ফরম্যাটে খেলা হয়েছে। ফের হবে এবার, টি ২০ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে। আগামী বছর এশিয়া কাপ আয়োজনের দায়িত্বে পাকিস্তান। ভারতে ৫০ ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপের আগে ২০২৩ সালের এশিয়া কাপ হবে একদিনের আন্তর্জাতিকের ফরম্যাটে। ২০১৬ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত ৭ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশকে। বাংলাদেশকে হারিয়েই ভারত ২০১৮ সালের এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়।
টুর্নামেন্টের সেরা
২০১৬ সালের এশিয়া কাপ ফাইনালে ৪৪ বলে ৬০ রান করে ম্য়াচের সেরা হয়েছিলেন শিখর ধাওয়ান। তিনি ২০১৮ সালের এশিয়া কাপে পান ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার, ৩৪২ রান করার সুবাদে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, ১৯৮৪ সাল থেকে কারা পেয়েছেন এশিয়া কাপের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার-
১৯৮৪ সালে সুরিন্দর খান্না (১০৭ রান), ১৯৮৬ সালে অর্জুন রণতুঙ্গা (১০৫ রান), ১৯৮৮ সালে নভজ্যোৎ সিং সিধু (১৭৭ রান), ১৯৯৫ সালে নভজ্যোৎ সিং সিধু, ১৯৯৭ সালে অর্জুন রণতুঙ্গা (২৭২ রান), ২০০০ সালে মহম্মদ ইউসুফ (২৯৫ রান), ২০০৪ সালে সনৎ জয়সূর্য (২৯৩ রান ও চার উইকেট), ২০০৮ সালে অজন্তা মেন্ডিস (১৭ উইকেট), ২০১০ সালে শাহিদ আফ্রিদি (২৬৫ রান ও তিন উইকেট), ২০১২ সালে শাকিব আল হাসান (২৩৭ রান ও ৬ উইকেট), ২০১৪ সালে লাথিরু থিরিমানে (২৭৯ রান), ২০১৬ সালে সাব্বির রহমান (১৭৬ রান), ২০১৮ সালে শিখর ধাওয়ান (৩৪২ রান)।