এশিয়া কাপের ইতিহাসে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথে এগিয়ে কারা? একনজরে স্মরণীয় ম্যাচ-সহ গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান
এশিয়া কাপে প্রধান আকর্ষণই হতে চলেছে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ। ফাইনালে উঠলে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ এবারের এশিয়া কাপে তিনবার পরস্পরের মুখোমুখি হবে। যা আসন্ন টি ২০ বিশ্বকাপে দুই দেশের প্রথম ম্যাচের মহড়া হিসেবেও চিহ্নিত হচ্ছে। এশিয়া কাপে ভারত সফলতম, দ্বৈরথেও এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তানের চেয়ে।
দ্বৈরথে ভারত এগিয়ে
এশিয়া কাপের ইতিহাসে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হয়েছে ১৫টি। তার মধ্যে ভারতের জয় ৮টিতে। পাকিস্তান জিতেছে ৫টিতে। দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত। ১৯৮৪ সালে প্রথমবার এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে ৫৪ রানে হারায় ভারত। ১৯৮৮ সালে জয় ৪ উইকেটে। ১৯৯৫ সালের এশিয়া কাপে ভারতকে ৯৭ রানে হারিয়েছিল পাকিস্তান, সেটিই এশিয়া কাপে ভারতের বিরুদ্ধে তাদের প্রথম জয়। ১৯৯৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ খারাপ আবহাওয়ার কারণে পরিত্যক্ত হয়। ২০০০ সালের এশিয়া কাপে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান জেতে ৪৪ রানে। ২০০৪ সালে পাকিস্তান জয়লাভ করে ৫৯ রানে। ২০০৮ সালের এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান দুবার পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিল। একটি ম্যাচে ভারত জেতে ৬ উইকেটে, অপরটিতে পাকিস্তান জেতে ৮ উইকেটে। সেবার ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ২০১০ সালে ভারত এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল ৩ উইকেটে।
শেষ পাঁচটি সাক্ষাতে
শেষ পাঁচটি সাক্ষাতের নিরিখে ভারত এগিয়ে রয়েছে ৪-১ ব্যবধানে। ২০১২ সালে এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত। ২০১৪ সালের এশিয়া কাপে পাকিস্তান জেতে ১ উইকেটে। ২০১৬ সালে টি ২০ ফরম্যাটে এশিয়া কাপ হয়েছিল। সেবার ভারত পাকিস্তানকে হারিয়ে দেয় ৫ উইকেটে। ২০১৮ সালে সর্বশেষ এশিয়া কাপে দুবারের সাক্ষাতে দুবারই পাকিস্তান-বধ সেরেছিল ভারত। একটি ম্যাচে ৮ উইকেটে এবং অপর ম্যাচে ৯ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয় মেন ইন ব্লু।
এশিয়া কাপে সর্বশেষ সাক্ষাতে
২০১৮ সালের এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে রোহিত শর্মার ৫২ ও শিখর ধাওয়ানের ৪৬ রানের সুবাদে ভারত ৮ উইকেটে হারিয়েছিল পাকিস্তানকে। ভুবনেশ্বর কুমার ও কেদার যাদব তিনি করে উইকেট দখল করেছিলেন। এরপর সুপার ফোরের ম্যাচে শিখর ধাওয়ানের ১১৪ ও রোহিত শর্মার অপরাজিত ১১১ রানের দৌলতে ৯ উইকেটে জয় নিশ্চিত করেছিল ভারত।
টি ২০ ফরম্যাটেও জয়
২০১৬ সালের এশিয়া কাপ এবারের মতোই টি ২০ ফরম্যাটে হয়েছিল টি ২০ বিশ্বকাপের আগে। ২৭ ফেব্রুয়ারি মীরপুরে পাকিস্তানকে ১৭.৩ ওভারে ৮৩ রানে অল আউট করে দেয় মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত। হার্দিক পাণ্ডিয়া নিয়েছিলেন তিনটি উইকেট। জবাবে ১৫.৩ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। বিরাট কোহলি করেছিলেন ৪৯ রান।
বিরাটের সেরা
একদিনের আন্তর্জাতিকে বিরাট কোহলির সেরা ইনিংসটিও এশিয়া কাপে। ২০১২ সালের এশিয়া কাপে ভারতের সামনে জয়ের জন্য ৩৩০ রানের টার্গেট দিয়েছিল পাকিস্তান। ২২টি চার ও একটি ছক্কা দিয়ে সাজানো বিরাট কোহলির ১৪৮ বলে ১৮৩ রানের ইনিংসের দৌলতে ১৩ বল বাকি থাকতে ভারত ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিল।
স্মরণীয় ম্যাচগুলি
২০১০ সালের এশিয়া কাপে ভারত রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ডাম্বুলায় পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ২৬৭ রান তুলেছিল। সলমন বাট করেছিলেন ৭৪ রান, কামরান আকমল করেন ৫১। প্রবীণ কুমার তিনটি এবং হরভজন সিং ও জাহির খান দুটি করে উইকেট নেন। জবাবে খেলতে নেমে ভারত ১ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিল। গৌতম গম্ভীর ৮৩ ও মহেন্দ্র সিং ধোনি ৫৬ রান করেছিলেন। ১১ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থেকে দলকে টার্গেট পার করিয়ে দেন হরভজন। সেই ম্যাচে শোয়েব আখতারের সঙ্গে হরভজন বাকযুদ্ধেও জড়িয়ে পড়েন। পাকিস্তানের এশিয়া কাপে ভারতের বিরুদ্ধে স্মরণীয় জয় ২০০৪ সালের এশিয়া কাপে। সেবার পাকিস্তান জেতে ৫৯ রানে। শোয়েব মালিক ১২৭ বলে ১৪৩ রান করেছিলেন। পাকিস্তান ৩০১ রানের টার্গেট দেয় ভারতকে। সচিন তেন্ডুলকর ৭৮ রান করেন, তবু ভারত জিততে পারেনি, ৮ উইকেটে ২৪১ রানে থেমে গিয়েছিল ভারতীয় দল।
FIFA World Cup 2022: কাতার বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি ফের কবে শুরু? কোন বিষয়ে সাবধান থাকবেন?