এশিয়া কাপ ২০১৮, স্বপ্নের শুরু, তারপরেও বাংলাদেশ আড়াইশ টপকাতে পারল না
২০ ওভারে বিনা উইকেটে ১১৬ ছিল বাংলাদেশ। এককথায় বলা যেতে পারে স্বপ্নের শুরু ছিল তাদের জন্য। কিন্তু এদিন আবার শেষে এল ভয়াবহতা। যার জন্য ৪৯ ওভারে মাত্র ২২২ তুলেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ ইনিংস। শুরুতে লিটন দাস (১২১) ও মেহিদি হাসান (৩২)। এবং পরের দিকে সৌম্য সরকার (৩৩) এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে কেউ দাঁড়াতে পারলেন না। তিন উইকেট নিলেন কূলদীপ যাদব।

টুর্নামেন্টের প্রথম দিনই ব্যাটিংয়ের প্রধান ভরসা তথা ওপেনার তামিম ইকবাল ছিটকে যাওয়ার পর থেকেই ওপেনিং স্লটের সমস্যায় ভুগছিল বাংলাদেশ। নাজিমুল হোসেন, সৌম্য সরকারকে দেখার পর ফাইনালে লিটন দাসের সঙ্গে পাঠানো হল মেহিদি হাসানকে।
এমনিতে মেহিদি লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করেন। কিন্তু এদিন সেই স্টপগ্যাপ ওপেনারই বাংলাদেশকে টুর্নামেন্টে এই প্রথমবার একটা ভাল শুরু দিয়েছিলেন। এতদিন রান না পাওয়ায় অনেক সমালোচনা হয়েছে লিটন দাসের। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একটি ৪৩ ছাড়া ২ অঙ্কের রানেই পৌঁছতে পারছিলেন না। সেই তিনিই এদিন দুই ছাড়িয়ে তিনে চলে গেলেন। ১২ টি ৪ ও ২টি ৬ সহযোগে ১১৭ বলে করে গেলেন ১২১ রান।
মেহিদি করেন ৫৯ বলে ৩২। দুজনের দাপটে এতদিন টুর্নামেন্টে ওপেনিং জুটিতে ২৫-এও পৌঁতে না পারা বাংলাদেশ ২১ ওভারের মধ্যে ১২০ রান তুলেছিল। কিন্তু কেদার যাদবের লেন্থের হেরফের ঘটিয়ে করা বল কাজে আসে। কাট করতে গিয়ে সোজা পয়েন্টে রায়ডুর হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
এরপরই বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের যাওয়া আসা শুরু হয়ে যায়। এতদিন ওপেনিং জুটির ব্যার্থতা ঢেকে দিতেন মুশফিকুর, মিঠুন, মাহমুদুল্লারা। আর এদিন ওপেনিং জুটির ভাল শুরু ফায়দা নিতে ব্যর্থ হলেন তাঁরা। ইমরুল কায়েস (২), মুশফিকুর (৫), মিঠুন (২), মাহমুদুল্লা (৪) কেউই দাঁড়াতে পারেননি ভারতীয় স্পিনারদে সামনে।
এরপর সৌম্য সরকারের সঙ্গে লিটন আরও একটি ৩৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন। কিন্তু ৪১ তম ওভারের শেষ বলে লিটন আউট হতেই বাংলাদেশেরও বড় রান তোলার আশা শেষ হয়ে যায়। সেই সময় বাংলাদেশের রান ছিল ১৮৮-৬। সেখান থেকে ২২২-এর বেশি এগোয়নি বাংলাদেশি ইনিংস।
এদিন ভারতীয় পেসার জুটি ভূবি ও বুমরা তাঁদের আগের ম্য়াচগুলির পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারেননি। বুমরা শেষ পর্যন্ত রুবেলের উইকেটটি তুললেও ভূবি উইকেটহীনই থাকলেন। দুজনে আজ রানও দিয়েছেন ওভার প্রতি প্রায় ৫ এর কাছারকাছি। জাদেজাও কোনও উইকেট তুলতে পারেননি। তবে দুরন্ত ফিল্ডিংয়ে মিঠুনকে রান আউট করেন।
স্পিনারদের মধ্যে সেরা ছিলেন কূলদীপ। তিনি ১০ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। এদিন আবার ভাল বল করলেন কেদার যাদব (৪১-২) চাহালও ৮ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ১টি উইকেট পেয়েছেন।