এশিয়া কাপ, ১৩৬ রানের বিশাল জয়! প্রতি ম্যাচেই নতুন অধ্যায় রচনা করছে আফগানিস্তান
এককথায় আফগান বোলারদের দুর্ধর্ষ প্রদর্শনী। আর তাতেই বাংলাদেশ ইনিংস ৪২.১ ওভারে মাত্র ১১৯ রানেই গুটিয়ে গেল। ১৩৬ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেল আফগানিস্তান। প্রথমে ব্যাট করে অষ্টম উইকেটে ৫৬ বলে ৯৭ রানের সৌজন্যে তারা ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রান তুলেছিল। ব্যাটে-বলে অসাধারণ রশিদ খানকে হলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ।

এদিন ২০তম জন্মদিন ছিল আফগান ক্রিকেটার রশিদ খানের। দিনটা একেবারেই নিজের করে নিলেন তিনি। প্রথমে ব্যাটে করলেন ৩২ বলে করা ৫৭ রান। পরে বল করতে এসে ৯ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১৩ রান দিয়ে তুলে নিলেন ২টি উইকেট।
অবশ্য শুধু রশিদ খানই কেন আজ গোটা প্রত্যেক আফগান বোলার দুর্ধর্ষ পারফর্ম করেছেন। যার জেরে বাংলাদেশ গোা ইনিংসে মাত্র ৫টি ৪ মারতে পেরেছে।
বলতে হবে আফগান ব্যাটসম্যানদের কথাও। তাঁরা দেখিয়ে দিলেন চাপ নেওয়ার ক্ষমতা। আফগান ইনিংসেও একটা সময় রান একেবারেই উঠছিল না। কিন্তু তখনও মহম্মদ শাহজাদ (৩৭) ও হাসমতুল্লা শহিদি (৫৮) উইকেট ছুঁড়ে দেননি। ধৈর্য ধরে খেলে গিয়েছেন।
একটা সময় ৪১ ওভারে আফগানিস্তানের স্কোর ছিল ৭ উইকেটে ১৬০। সেখান থেকে শেষ ৯ ওভারে বেদম মারেন রশিদ খান। অষ্টম উইকেটে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন আরেক স্পিনার গুলবদিন নইব (২৮ বলে ৪২)। তাদের বিধ্বংসী পার্টনারশিপ আফগানিস্তানের রানটাকে ২৫৫-য় পৌঁছে দেয়।
বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে সেরা বোলিং করেছেন অলরাইন্ডার সাকিব আল হাসান (৪২-৪)। ২টি উইকেট পান অভিষেককারী আবু হায়দার রনি (৩২-১) ও আরেকটি উইকেট পেয়েছেন রুবেল হোসেন (৩২-১)।
এই আফগান দলটির কিন্তু প্রবল আত্মবিশ্বাস তাদের বোলারদের দক্ষডতার উপরে। টসের সময় অধিনায়ক আশরাফ আফগান বলেছিলেন ২৫০ রান করতে পারলেই তাঁরা ম্যাচ বের করে নেবেন। তা সহজেই করে দেখালেন তার বোলাররা।
বাংলাদেশের হয়ে ওপেন করেছিলেন তাদের আরেক অভিষেককারী ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু আফগানদের শৃঙ্খলিত বোলিং আক্রমণের সামনে তাঁর অভিষেক ম্যাচটা ভাল গেল না। চতুর্থ ওভারেই তিনি আফতাব আলমের বলের লাইন মিস করে এলবিডব্লু হয়ে যান।
বাংলাদেশের কোনও ব্যাটসম্যানই অবশ্য এদিন দাঁড়াতে পারেননি আফগান আক্রমণের সামনে। একমাত্র সাকিব আল হাসান (৩২), মাহমদুল্লা (২৭) ও মোসাদ্দেক হোসেন (২৬) দুই অঙ্কের ঘরে রান করতে পেরেছেন।
রশিদ খান ছাড়া ২ টি করে উইকেট পেয়েছেন মুজিবুর রহমান (২২-২) ও গুলবদিন নইব (৩০-২)। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন আফতাব আলম (১১-১), মহম্মদ নবি (২৪-১) ও রহমত শাহ (৭-১)।
এই আফগানিস্তান দল কিন্তু সুপার ফোরেও অনেক হিসেব এদিক ওদিক করে দিতে পারে। প্রতি ম্যাচেই যেন তারা আফগান ক্রিকেটের নতুন অধ্যায় রচনা করে চলেছে। তাদের নিয়ে কিন্তু প্রত্যাশা বাড়ছে ক্রিকেট দুনিয়ায়। শুক্রবারই সুপার ফোরের ম্যাচে তাদের মোকাবিলা পাকিস্তানের সঙ্গে। আর ভারত তাদের বিরুদ্ধে খেলবে মঙ্গলবার।