ফিরোজ শাহ কোটলায় আবেগের বিস্ফোরণ, সতীর্থদের কাঁধে মাঠ ছাড়লেন নেহরা
ফিরোজ শাহ কোটলায় নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কেরিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামছেন আশিস নেহরা।
'রহে না রহে হাম , মহেকা করেঙ্গে '... জনপ্রিয় হিন্দি ছবির গানের লাইন। ফিরোজ শাহ কোটলায় আশিস নেহরার বিদায়ী ম্যাচ ঘিরে আবেগ যে চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছলো তা নিঃসন্দেহে দারুণ। স্কুল ক্রিকেটে খেলার সময় যে নেহরার হাত থেকে পুরস্কার নিয়েছিলেন বিরাট, সেই বিরাটের কাঁধে ঘুরেই এদিন মাঠ ছাড়লেন নেহরা।
প্রাপ্তির ঝুলি
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে নিজের কেরিয়ারের শেষ ইনিংস যখন বল করছিলেন তখন গোটা গ্যালারিতে নেহরার নামে জয়ধ্বনি। আসলে স্পোর্টসম্যানদের জীবনের এই পাওয়াটাই তো পরম পাওয়া। এদিনের কোটলা ভরিয়ে দিল নেহরাকে।
নেহরার স্বীকারোক্তি
মাঠে হাজির থাকা প্রতিনিধি আশিস নেহরাকে যখন অবসর জীবনের শুভেচ্ছা জানান, তখন তিনি হাসিখুশিতে জীবন ভরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তখন নেহরা জানিয়ে দেন , অবসর বলে তিনি হাসবেন তা নয়, তিনি সবসময়েই হাসিখুশি থাকেন এবং থাকতে পছন্দ করেন।
তাঁর চোখে কে সেরা
১৮ বছরে কার্যত ভারতীয় ক্রিকেটের তিনটি প্রজন্মকে দেখেছেন তিনি। তবে কোনও প্রজন্মের সঙ্গে কোনও প্রজন্মের তুলনা করতে তিনি নারাজ। কারণ ক্রিকেট খেলা সবসময় পরিবর্তিত হচ্ছে, সেখানে তুলনা করা যায়না। তবে তাঁর মুখে উঠে এসেছে সৌরভ-সচিনদের নাম।
আশাবাদী নেহরা
নেহরা জানিয়েছেন, বিরাটরা যেভাবে ক্রিকেটটা খেলছেন নিঃসন্দেহে তা দারুণ। বিশ্বের কাছে এই মুহূর্তে ত্রাস মেন ইন ব্লু। এঁরা আগামী ৬-৭ বছর বিশ্ব ক্রিকেটে রাজ করবে এমনটাই মত অভিজ্ঞ এই পেসারের।
বিরাট ও শিখরের কাঁধে নেহরা
গোটা গ্যালারির করতালি ধ্বনির মধ্যে দলের সঙ্গে শেষবারের জন্য মাঠে ভিকট্রি ল্যাপ দিচ্ছিলেন নেহরা। কিন্তু তাঁর সাফল্যে চার চাঁদ লেগে যায় যখন শিখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলি তাঁকে কাঁধে তুল নেন।
খেলতে খেলতে শিখেছেন
আশিস নেহরা বিদায়বেলায় স্বীকারোক্তি জানিয়েছেন লোকে ক্রিকেটটা শিখে আসে, আর তিনি খেলতে এসে ক্রিকেটটা শিখে এসেছেন। আসলে রোজকার ম্যাচ প্র্যাকটিশই আরও পরিণত করে একজন ক্রিকেটারকে। এত বড় স্বীকারোক্তি জানিয়েছেন নেহরা।