বিসিসিআই সভাপতি সৌরভের কার্যকালের মেয়াদ শেষ, সুপ্রিম রায়ের অপেক্ষা
আইন মোতাবেক বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়েছে সোমবার অর্থাৎ ২৭ জুলাই। মহারাজ এই পদে ভবিষ্যতে আর আসীন থাকতে পারবেন কিনা, তা জানতে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। এই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। বোর্ড সচিব তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র জয় শাহের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।

বিসিসিআই সভাপতি সৌরভের মেয়াদ শেষ
সুপ্রিম কোর্ট মনোনিত প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আরএম লোধা নেতৃত্বাধীন প্যানেলের তৈরি সংবিধান অনুযায়ী সোমবার অর্থাৎ ২৭ জুলাই শেষ হয়েছে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কার্যকালের মেয়াদ। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের রায় বিপক্ষে গেলে মহারাজকে তিন বছরের কুলিং-অফের নিয়ম মানতেই হবে। অর্থাৎ তিন বছর তিনি দেশের ক্রিকেট প্রশাসকের পদে থাকতে পারবেন না। অন্যদিকে, বিসিসিআই সচিব জয় শাহের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়েছে ৭ মে।

বিসিসিআইয়ের মামলা
দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আরএম লোধা নেতৃত্বাধীন কমিটি বর্ণিত সংবিধানে উল্লেখিত কুলিং-অফের নিয়ম শিথিল করার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিসিসিআই। একই সঙ্গে ওই সংবিধানে বর্ণিত আরও ৬টি বিষয় পরিবর্তনের আবেদন জানিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। গত ২২ জুলাই প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ সেই আবেদন গ্রহণ করেছে। সেই সঙ্গে প্রশ্ন করে, সৌরভ এবং জয়ের মধ্যে এমন কী ক্যারিশমা রয়েছে, যার জন্য বিসিসিআই এত উতলা হয়ে পড়ছে।

পরবর্তী শুনানি
গত ডিসেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে দুটি আবেদন দাখিল করেছে বিসিসিআই। ২১ এপ্রিল শীর্ষ আদালতে এ ব্যাপারে শেষ আর্জি জমা দেয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তাতে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও সচিব অমিত শাহের কার্যকালের মেয়াদ ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়। এর প্রেক্ষিতেই গত ২২ জুলাই অল্প সময়ের জন্য সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১৭ অগাস্ট।

বাধ্যতামূলক কুলিং-অফ
সুপ্রিম কোর্ট মনোনিত বিচারপতি আরএম লোধা নেতৃত্বাধীন প্যানেলের তৈরি বিসিসিআই সংবিধানে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি পৃথক ভাবে রাজ্য ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কিংবা দুই স্তর মিলিয়ে টানা ছয় বছরের কিংবা দুই বারের বেশি পদ ধরে রাখতে পারবেন না।

সমস্যা কোথায়
২০১৫ সালে সিএবি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। গত অক্টোবরে বিসিসিআই সভাপতি হন মহারাজ। সবমিলিয়ে ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে সৌরভের ছয় বছর সম্পূর্ণ হয়েছে। নিয়ম পরিবর্তন না হলে ২৭ জুলাই অর্থাৎ সোমবারের পর তাঁকে বিসিসিআই সভাপতির পদ থেকে তিন বছরের জন্য বিরাম নিতে হবে। একই অবস্থায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র জয় শাহও।

পরবর্তী সভাপতি
সুপ্রিম কোর্টের রায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিপক্ষে গেলে এবং তাঁকে বিসিসিআই সভাপতির পদ থেকে সর যেতে হলে, সেই স্থানে আইপিএল চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল বসতে পারেন বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
২০২৩ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু আইসিসির, জুলাই মাসেই বিশ্বকাপ সুপার লিগে ঢাকে কাঠি