সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে মুখ খুললেন অরুণ ধুমল, কী বললেন অনুরাগ ঠাকুরের ভাই?
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে এবার মুখ খুললেন বিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমল। তিনি আইপিএল চেয়ারম্যান হতে চলেছেন। সৌরভের কাজকর্মে অসন্তুষ্ট বিসিসিআইয়ের অনেকেই। সে কারণেই সৌরভকে বোর্ড সভাপতি পদ থেকে সরানোর প্ল্যান রেডি হয় বলে দাবি করেছিল বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। যদিও সেই জল্পনায় জল ঢাললেন ধুমল।
সৌরভকে নিয়ে ভিত্তিহীন জল্পনা
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দিল্লি ও মুম্বইয়ের বৈঠকে অস্বস্তিজনক পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন অনেকে। বোর্ড সভাপতি থাকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েও শেষে পরিস্থিতি প্রতিকূল বুঝে সৌরভ খুব হতাশ হন বলেও বোর্ডের সূত্র উল্লেখ করে দাবি করেছিল সংবাদমাধ্যমগুলি। এগুলি যে স্রেফ জল্পনা, কোনও ভিত্তি নেই, এমনটাই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় যুবকল্যাণ ও ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের ভাই অরুণ ধুমল।
সকলেই দাদাকে নিয়ে খুশি
ধুমল সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সৌরভের বিরুদ্ধে কেউ একটা কথাও বলেননি। পদাধিকারী সংক্রান্ত যে সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়েছে মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে, সৌরভও সেই আলোচনা বা সেই প্রক্রিয়ার অংশ ছিলেন। ধুমলের কথায়, স্বাধীন ভারতে বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে কেউই পরপর দুটি টার্মে থাকেননি। ফলে দাদাকে নিয়ে যে সব কথা বলা হচ্ছে তা মিডিয়ার জল্পনা, বোর্ডের কোনও সদস্যই দাদার বিরুদ্ধাচরণ করেননি। ফলে মতানৈক্য, বিরোধিতা সংক্রান্ত সমস্ত কথাই ভিত্তিহীন।
আলোচনার অংশ ছিলেন বোর্ড সভাপতি
ধুমলের কথায়, দাদার বিরুদ্ধে কেউ কোনও কথা বলেননি। বিসিসিআইয়ের পদাধিকারীদের কাজকর্মে, বিশেষ করে গত তিন বছর কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও বিসিসিআই যেভাবে চলেছে তাতে প্রত্যেক বোর্ড মেম্বারই খুশি। ভারত অধিনায়ক হিসেবে দাদার বর্ণময় কেরিয়ার। দেশের অন্যতম সেরা অধিনায়ক। প্রশাসক হিসেবেই তিনি সকলকে একসূত্রে গেঁথে ফেলেছিলেন। আমরা একটা দল হিসেবেই কাজ করেছি। দাদা ও রজার বিনি একসঙ্গেই বৈঠকে ছিলেন। মনোনয়ন যাঁরা জমা দিয়েছেন তাঁরাও ছিলেন। সেখানে দাদা নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন। দাদাকে আইপিএল চেয়ারম্যান হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তাতে আমি কোনও পদে থাকতাম না। তাতে আমার কোনও অসুবিধাও ছিল না।
বিনি কেন?
রজার বিনির বয়স এখন ৬৭। বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য। এবার না হলে আর বোর্ডের কোনও পদে বসতে পারতেন না তিনি। বিশ্বকাপজয়ী একজন বোর্ড সভাপতি হচ্ছেন, এই বিষয়টিই বোর্ডকর্তাদের বৈঠকে যে গুরুত্ব পেয়েছে সেটা স্পষ্ট ধুমলের কথায়। আগামী বছর ভারতে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ। তখন বোর্ডের শীর্ষপদে থাকবেন তিরাশির বিশ্বকাপজয়ী দলের ক্রিকেটার, এই বিষয়টিই সামনে রেখে এগোতে চাইছে বিসিসিআই।
রাজনীতি নেই
সৌরভের বিসিসিআই থেকে বিদায়ের পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ নেই বলেও জানিয়েছেন ধুমল। তিনি বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক দেশে বাস করি। একেকজনের একেক রকমের আদর্শ থাকতেই পারে। বিসিসিআইয়ে আমাদের সকলেরই লক্ষ্য থাকে ভারতীয় ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। যুগ্ম সচিব পদে দেবজিৎ সাইকিয়া ও কোষাধ্যক্ষ পদে অরুণ শেলার আসছেন। সৌরভ ছাড়া বাকি সবাই রয়ে গেলেন। এ প্রসঙ্গে ধুমল বলেন, ভারসাম্য বজায় রেখে নতুনদের গ্রুম করতেই এমন কমিটি তৈরি হলো। যাতে পরবর্তীকালে বোর্ড মসৃণভাবে এগিয়ে যেতে পারে। যাঁরা পদে রয়েছেন তাঁরা সকলেই ফের থেকে গেলে কেউই তো কাজ শিখতে পারবেন না। এমনিতেই এখন কমিটিও অনেক ছোট।
ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল স্টেডিয়ামে ১৩০ জনের বেশি মানুষ পদপিষ্ট! মন্ত্রী জানালেন চাঞ্চল্যকর কারণ