আমিরশাহী ছাড়া স্থগিত হওয়া আইপিএলের শেষ পর্ব হতে পারে যে দুই দেশে
দেশে বাড়তে থাকা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে আইপিএলের ম্যাচগুলি আয়োজন করা যে আর সম্ভব নয়, তা মেনে নিয়েছে বিসিসিআই। এমনকী অতিমারীর বাড়বাড়ন্তে ভারতে থমকে যাওয়া আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলি ভারতে আর হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। ফলে বিসিসিআই অন্য দেশে টুর্নামেন্ট সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে বলে এক সূত্র মারফত জানানো হয়েছে। জয় শাহদের মাথায় কোন কোন দেশের নাম ঘুরছে, তা জেনে নেওয়া যাক।
করোনার আবহে ভারতে আইপিএল আয়োজনের পক্ষে কোন যুক্তি দিলেন সৌরভ?

সংযুক্ত আরব আমিরশাহী
করোনা ভাইরাসের আবহে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে ২০২০ সালের আইপিএল সফলভাবে আয়োজন করেছিল বিসিসিআই। সেই অভিজ্ঞতায় সম্বৃদ্ধ হয়ে এবারের থমকে যাওয়া আইপিএলের শেষ পর্বের ম্যাচগুলি সে দেশেই করানো যায় কিনা, তা নিয়ে ভারতীয় বোর্ড ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে বলে এক সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
সমস্যা : আগামী অক্টোবরে টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজন হওয়ার কথা। তার আগে সেপ্টেম্বর ছাড়া আইপিএল আয়োজনের জন্য কোনও জানলা খোলা পাচ্ছে না বিসিসিআই। কিন্তু ওই সময় সংযুক্ত আরব আমিরশাহী তুমুল গরম থাকার কথা। তার মধ্যে ক্রিকেট হওয়া সম্ভব কিনা, তা নিয়ে বিসিসিআই ভাবনাচিন্তা করছে বলে সূত্রের খবর।

ইংল্যান্ড
থমকে যাওয়া আইপিএলে মোট ২৯টি ম্যাচ খেলা হয়েছে। ফাইনাল ও প্লে-অফ মিলিয়ে টুর্নামেন্টে আরও ৩১টি ম্যাচ হওয়া বাকি রয়েছে। সেই ম্যাচগুলি ইংল্যান্ডে করানো যায় কিনা, তা নিয়ে বিসিসিআই ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর। জানানো হয়েছে সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের আবহাওয়া মনোরম এবং ক্রিকেট খেলার জন্য উপযুক্ত থাকে। তাছাড়া ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলতে ভারতীয় ক্রিকেটাররা সেই সময় সেই দেশে হাজিরও থাকবেন বলে বোর্ডের এক সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়া
করোনা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তের জেরে চলতি বছরের টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজনের অধিকার হারাতে পারে ভারত। অস্ট্রেলিয়ায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে টুর্নামেন্ট। ড্রেস রিহার্সাল হিসেবে ক্যাঙারুর দেশে আইপিএল আয়োজন করাতে বিসিসিআই উদ্যোগী হতে পারে বলে খবর।

ভারতে আইপিএল হওয়ার সম্ভাবনা কম
বাংলার ঋদ্ধিমান সাহা সহ চার ক্রিকেটার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতেই আইপিএল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই। আইপিএলে অংশ নেওয়া সব ক্রিকেটার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফ, স্টেক হোল্ডার, কর্মীদের কথা ভেবেই এই বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে আইপিএলের অবশিষ্ট ম্যাচ যে ভারতে আয়োজন করা কার্যত অসম্ভব, তা অনায়াসে বলা যায়।