সর্বোচ্চ আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা অনুরাগ ঠাকুরের
সর্বোচ্চ আদালত অবমাননার দায়ে থেকে মুক্তি পেতে বৃহস্পতিবার আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা ভিক্ষা করলেন অনুরাগ ঠাকুর। প্রাক্তন বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ২ জানুয়ারি আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠে। মিথ্যা হলফনামা আদালতে জমা দিয়েছিলেন অনুরাগ ঠাকুর।
বৃহসপ্তিবার সুপ্রিম কোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা যাচিকা দাখিল করলেন অনুরাগ ঠাকুর। নিজের ক্ষমা ভিক্ষায় অনুরাগ জানিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালতকে অসম্মান করার কোনও ইচ্ছা তাঁর নেই। হিমাচল প্রদেশের হামিরপুরের বিজেপি সাংসদকে ৭ জুলাই নিঃশর্ত ক্ষমাযাচিকা দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছিল কোর্ট।

নিজের হলফনামায় অনুরাগ বলেছেন, ' আমি বিনয়ীভাবে জানাই সর্বোচ্চ আদালতকে অবমাননা করার কোনও প্রয়াস আমি করিনি। যদি ভুল করে কোনও মিথ্যা তথ্য আদালতে গিয়ে থাকে তা পুরোপুরি তথ্যগত বিভ্রান্তির জন্য হয়েছে। তাও আমি সেই ভুলের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
গত ৭ জুলাই বিচারপতি দীপক মিশ্র, এএম খানউইলকর, ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিসন বেঞ্চ এই নির্দেশ অনুরাগ ঠাকুরকে দিয়েছিল। এর আগেও আদালত অবমাননার এই মামলায় এফিডেভিড দাখিল করেছিলেন অনুরাগ ঠাকুর। কিন্তু ডিভিসন বেঞ্চ জানিয়েছিল নতুন করে এক পাতার একটি এফিডেভিট দাখিল করতে হবে প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতিকে। এদিন অনুরাগ ঠাকুরের আইনজীবী পিএস পাটওয়ালিয়া এই হলফনামা দাখিল করেন।
আইসিসিকে বিসিসিআই -র সামগ্রিক পরিস্থিতি জানাতে মিথ্যা তথ্যের আশ্রয় নিয়েছিলেন অনুরাগ ঠাকুর। তাই তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট অনুরাগ ঠাকুরের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠেছিল।