আইপিএলের ধাঁচে টি ২০ লিগে দুর্নীতির আঁচ, রাশ টানবে বোর্ড
আইপিএলের ধাঁচে টি ২০ লিগে দুর্নীতির আঁচ, রাশ টানবে বোর্ড
আইপিএলের (IPL) ধাঁচে দেশের নানা প্রান্তে গজিয়ে ওঠা টি ২০ লিগ (T 20 League) নিয়ে এবার নড়েচড়ে বসল বিসিসিআই (BCCI)-এর দুর্নীতিদমন শাখা (ACU) । মুম্বই, কর্নাটক ও তামিলনাড়ুতে বড় মাপের টুর্নামেন্ট আয়োজনের পাশাপাশি সৌরাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, বাংলা, অন্ধ্রে এমন টি ২০ টুর্নামেন্ট আয়োজনের খবর পেয়েছে বিসিসিআই। জানা গিয়েছে, এইসব লিগে কোথাও সংশ্লিষ্ট রাজ্য ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার নিয়ন্ত্রণ নেই।
কোথাও আবার তৃতীয় পক্ষকে টুর্নামেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর তাতেই দুর্নীতি বাসা বাঁধছে বলে অভিযোগ। বিজনেস মডেলকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কারা দল কিনছেন, তাঁদের আয়ের উৎস কী, তা প্রকাশ্যে আসছে না। স্পট বা ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠছে, তার তদন্ত করতেও দেখা গিয়েছে রাজ্য পুলিশকে। পরে সংশ্লিষ্ট রাজ্য ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা ক্রিকেটারদের সাসপেন্ড করেছে, এমন নজিরও আছে। বেশ কয়েক বছর ধরে লাগাতার দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে এবার বোর্ডের দুর্নীতিদমন শাখার প্রধান অজিত সিং বিসিসিআই কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। বোর্ডও এবার গোটা বিষয়ে রাশ টানতে চাইছে। খুব দ্রুত এ ব্যাপারে বোর্ড পদক্ষেপ করবে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, বেশিরভাগ অভিযোগ এসেছে মুম্বই, তামিলনাড়ু ও কর্নাটক থেকে। দল কিনতে কোটি কোটি টাকা খরচ করছেন যাঁরা তাঁদের বেশিরভাগের আয়ের উৎস অজ্ঞাত। বোর্ডসূত্রে খবর, মুম্বইয়ে টি ২০ লিগে দল কেনার বেস প্রাইস ৩ কোটি টাকা। এমন একজন ব্যবসায়ী দল কিনছেন যাঁর অন্য লিগে দল থাকলেও তাঁর আয়ের উৎস সম্পর্কে কোনও স্পষ্ট ধারণা মেলেনি। টি ২০ মুম্বই লিগে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার কথা এক ক্রিকেটার জানানোর পর দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকদের জেরার মুখে দলের মালিককে পড়তে হয়েছে, এমন নজিরও রয়েছে। ২০১৯ সালে কর্নাটক প্রিমিয়ার লিগে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে।
পাঁচজন ক্রিকেটার, দুই দলের মালিক-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়ে তদন্তে নেমেছিল বেঙ্গালুরু পুলিশ। কর্নাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এর জেরে অভিযুক্ত ক্রিকেটার ও কোচদের সাসপেন্ড করে। এক রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার আধিকারিকের বাড়িতে পুলিশি তল্লাশি চলার নজির যেমন রয়েছে তেমনই ২০১৯ সালেই আইপিএল ও রঞ্জি ট্রফির এক কোচ, যিনি তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগে যুক্ত ছিলেন, তিনিও বোর্ডের দুর্নীতিদমন শাখার জেরার মুখে পড়েছিলেন।
বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সচিব রত্নাকর শেট্টি জানিয়েছেন, দেখা গিয়েছে অনেক ক্ষেত্রেই এইসব লিগের উপর রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার নিয়ন্ত্রণ নেই। যাঁরা দল কিনছেন তাঁদের ব্যাপারে তথ্য জোগাড়, যোগ্যতামান ঠিক করার দায়িত্ব কার? কেন মালিকরা ভালো রিটার্ন পাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত না হয়েই দল কিনতে কোটি কোটি টাকা ঢালছেন? তা সাদা টাকা তো? আগে অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতারিও হয়েছে।
তবে সমস্যার সমাধান হতে পারে একমাত্র যদি বেসরকারি ফ্র্যাঞ্চাইজির বদলে লিগ চালানোর দায়িত্ব নেয় সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ক্রিকেট সংস্থা। তাহলেই দুর্নীতির আঁচ থেকে বাঁচতে পারে লিগগুলি। উল্লেখ্য,ইতিমধ্যেই সিএবি (CAB) কলকাতার ক্লাবগুলিকে নিয়ে টি ২০ টুর্নামেন্ট করেছে। সেটাই মডেল করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন বোর্ডকর্তারা।
ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট: ভারতীয় স্পিনারদের অবলীলায় সামলে ইংল্যান্ডের বড় রানের আশা জাগালেন সিবলে-রুট