অনেকেই চাননি আমি ভারতীয় দলের কোচ হই, তোপ দাগলেন শাস্ত্রী
অনেকেই চাননি আমি ভারতী দলে কোচের হই, তোপ দাগলেন শাস্ত্রী
ভারতীয় কোচের পদে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে শিরোনামে রবি শাস্ত্রী। তাঁর কোচিং-এ ভারতীয় দলের ব্যর্থতা কামনা করতো একদল, এমনটা জানানোর পর এ বার রবির নতুন তোপ, তিনি ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন তা অনেকেই চায়নি। শাস্ত্রী দাবি করেছেন একাধিক প্রচেষ্টা করা হয়েছিল যাতে তিনি জাতীয় দলের কোচের চাকরিটি না পান। ২০১৭ সালে রবি শাস্ত্রী'কে নিযুক্ত করে ক্রিকেট অ্যাডভাইজারি কমিটি (সিএসি), যেই কমিটি'তে ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সচিন তেন্ডুলকর, ভিভিএস লক্ষ্ণণ।
শাস্ত্রীর আমলে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম শক্তি হিসেবে উঠে আসে ভারত। ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে গিয়ে সিরিজ জিতে ফেরে বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন দল। এক সর্ব ভারতীয় সংস্থা'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি শাস্ত্রী দাবি করেছেন, বিসিসিআই-এর মধ্যে থেকে বেশ কিছু মানুষ চাননি ভারতীয় কোচের চাকরিটা তিনি পান। তাঁর কথায়, "আমি কোনও বিশেষ কারোর দিকে আঙুল তুলতে চাইছি না। তবে আমি অবশ্যই এটা বলতে পারি আমি যাতে ভারতের কোচের চাকরি না পাই তার জন্য ভাল মতো চেষ্টা করা হয়েছিল। এটাই জীবন।" পাশাপাশি তিনি এ-ও জানিয়েছে, ভরত অরুণও যাতে ভারতীয় দলের বোলিং কোচ না হয় তার জন্যও চেষ্টা চালানো হয়েছিল।
প্রসঙ্গত ভারতীয় দলের ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করার দরুন ২০১৬ সালে ভারতীয় দলের প্রধান কোচ হওয়ার দৌড়ে তিনি সবার থেকে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সচিন তেন্ডুলকর এবং ভিভিএস লক্ষ্মণের ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটি অনিল কুম্বলেকে কোচের দায়িত্ব দেয়। এবিষয়ে শাস্ত্রী বলেন, "আমাকে বলা হয়েছিল ধারাভাষ্যের কাজ ছেড়ে দিতে। ছেড়ে দিয়েছিলাম। আরও অনেক কিছু ছেড়ে ভারতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমাকে কোনও কিছু না বলে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
খবরটা আমার কাছে আকস্মিক ভাবে এসেছিল। এর নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে তা আমাকে কেউ জানায়নি।" তিনি আরও বলেন, "খুব খারাপ লেগেছিল তখন। আমাকে যদি পছন্দ না হয়, সেটা বলতে পারত। যাই হোক, আবার ধারাভাষ্যের কাজ শুরু করেছিলাম। নয় মাস পরে যখন ফিরে এলাম, আমাকে বলা হয়, দলের ভিতর গোলমাল রয়েছে। শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। যখন দলটাকে ছাড়তে হয়েছিল, তখন কোনও সমস্যা ছিল না। মাত্র ন' মাসে সব বদলে গিয়েছিল।
'এমনটা হওয়ারই ছিল’, বিরাটের অধিনায়কত্ব হারানো প্রসঙ্গে কেন এমন বললেন আকাশ?
আরও অবাক হয়েছিলাম এটা ভেবে যে, নয় মাস আগে যাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাকেই আবার দায়িত্ব দেওয়া হল।" এতকিছুর পরেও ২০১৯ সালে শাস্ত্রী ভারতীয় দলে তাঁর দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেন। এরপর চলতি বছরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষে আর তিনি মেয়াদ না বারিয়েই সরে দাঁড়ান। এই মুহূর্তে তিনি লেজেন্ডস লিগ ক্রিকেটে ম্যাচ কমিশনারের দায়িত্বে রয়েছেন।