ভারত-পাক মহারণের মাঝে 'জোম্যাটো' বনাম 'করিম পাকিস্তান'-এর টুইট-ট্রোলে মত্ত নেটিজেনরা
খেলার ময়দান দুবাই ইন্টারন্যাশনাস স্টেডিয়াম। তবে ভারত থেকে পাকিস্তানের অলি বা গলিতে সেই খেলা নিয়ে এক চুলও কম নেই উত্তেজনা। ২৪ অক্টোবর ঠিক সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা থেকে টিভির পর্দার সামনে বসবেন না এমন কোনও ভারতীয় বা পাকিস্তানি আছেন বলে মনে হয়না! ভারত বনাম পাকিস্তানের এই বিশ্ব মঞ্চের মহারণ নিয়ে কার্যত তুঙ্গে রয়েছে উত্তেজনা। সন্ধ্যেবেলায় খাবার পাত সাাজিয়ে অনেকেই আয়েশে এই খেলা দেখতে বসবেন। কেউ পেঁয়াজি-মুড়ির কম্বিনেশন সঙ্গে নিয়ে বাবর বনাম বিরাট যুদ্ধ দেখতে পছন্দ করবেন, আবার কেউ বার্গার কিম্বা পিৎজায় থাবা বসাবেন। এই খাবারের আয়েশের শেষে যে দল জিতবে, সেই দেশের অনেকেই রাতের আহারে মণ্ডা-মিঠাই যোগ করতে পারেন! এক কথায় খাবার-খেলা জুটি যেন রোহিত-বিরাটের মতোই মেজাজি বিষয় উপমহাদেশের মানুষের কাছে। তার ওপর এদিন আবার ভারত -পাকিস্তান মহারণ!
এদিকে, সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা থেকে শুরু হওয়া খেলা ঘিরে অনকেই রবিবাসরীয় মেজাজে জোম্যাটো কিম্বা সুইগির পেজ ভারতের বুকে সোয়াইপ করতে শুরু করে দিয়েছেন। সেই জায়গা থেকে ভারত পাকিস্তানের দুই ফুড ডেলিভারি সংস্থার মধ্যে মজার ছলে এক প্রস্থ সংঘাত হয়ে গিয়েছে টুইটারে। এদিন জোম্যাটোর তরফে একটি টুইটে লেখা হয়েছে, ' ডিয়ার পিসিবি, যদি মনে করেন আজ রাতে বার্গার বা পিৎজা খাবেন,তাহলে আমরা একটি ডিরেক্ট মেসেজ দূরে রয়েছি।' জোম্যাটোর বক্তব্যের মূল কথা এমনটাই যে, আজ তো ভারতীয় ক্রিকেট টিমই কেবল খেলবে। আর ভারতীয় ক্রিকেট তারকাদের খেলা 'বসে' এক তরফা দেখতে দেকতে যদি বার্গার বা পিৎজা খাওয়ার মন হয়, তাহলে জোম্যাটো আছেই। এদিকে জোম্যাটোর এমন দাবি নিয়ে যখন গোটা নেটিজেনরা উল্লাসে, ট্রোলে ফেটে পড়ছেন,তখন জোম্যাটোকে টার্গেট করে করিম পাকিস্তান নামের এক ফুড ডেলিভারি সংস্থা আরও একটি টুইট করেছে।
করিম পাকিস্তান যে টুইট করেছে তাতে লেখা রয়েছে 'বিনামূল্যে খাবার সুযোগও রয়েছে আর জিতে নেওয়ার সুযোগও রয়েছে। পাকিস্তান বনাম ভারত ম্যাচে রাত ৯ টা পর্যন্ত এই সুযোগ থাকছে। যদি পাকিস্তান যেতে তাহলে ডেলিভারি চার্জ রিফান্ড করে দেওয়া হবে।' পাকিস্তানের ফুড ডেলিভারি সংস্থার তরফে এই বার্তা ঘিরে উল্লাসিত সেখানের জনগণও। তবে ট্রোল ও মশকরার মাঝেই পাকিস্তান বনাম ভারতের এই ম্যাচ দুই দেশের কূটনৈটিক প্রেক্ষাপটকে শক্ত জমি দেবে কি না তা নিয়ে রয়েছে জোর আলোচনা। এদিকে, এই পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আজ পর্যন্ত কোনও দিনওই পাকিস্তানের কাছে হেরে যায়নি ভারত। একদিনের ক্রিকেটই হোক বা টি টুয়েন্টি। পাকিস্তান বনাম ভারত ম্যাচে চিরকালই চালকের আসনে থেকেছে ভারত। সেই জায়গা থেকে রেকর্ড ধরে রাখার লড়াইয়ে নামবেন বিরাটরা, আর সেই রেকর্ড ভাঙার চ্যালেঞ্জ বাবরদের সামনে। ফলাফলের অপেক্ষায় দুই দেশ।