রাহানে-পূজারার কেরিয়ার কি অস্তাচলের পথে? কী বলছে বিগত বছরগুলির লেখাঝোকা
রাহানে-পূজরার কেরিয়ার কি অস্তাচলের পথে? কী বলছে বিগত বছরগুলির লেখাঝোকা
কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কি ভারতের জার্সিতে ক্রিকেটের দীর্ঘ ফরম্যাটে শেষ ম্যাচটি খেলে ফেললেন অজিঙ্ক রাহানে এবং চেতেশ্বর পূজারা? সময়ই-এর উত্তর দেবে। বিগত বছরগুলিতে পূজারা-রাহানের পারফরম্যান্সের খাতিয়ানের দিকে নজর রাখলে বলাই যায় পূজারা-রাহানের কেরিয়ার অস্তাচলের পথে। জাতীয় দলে হয়তো ফুরলো সময়। সেই জায়গা ভরাটের জন্য ভারতীয় দলের দোরগোড়ায় অপেক্ষারত হনুমা বিহারী, শ্রেয়াস আইয়ারের মতো একাধিক তরুণ প্রতিভা।
ধারাবাহিকতার অভাব:
বিদেশের মাটিতে রাহানের পারফরম্যান্স একটা সময় ছিল চোখ ধাঁধানো। বিদেশের মাঠে ৪০-এর বেশি গড় থাকার কারণে টেস্ট দলের অটোমেটিক চয়েস হয়ে উঠে ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ চার বছর বিদেশের মাটিতে রাহানের ধারাবাহিকতার অভাব বারবার বিপাকে ফেলেছে ভারতকে। এক কথা প্রযোজ্য চেতেশ্বর পূজারার ক্ষেত্রেও। একটা সময়ে অনেকেই মনে করতেন রাহুল দ্রাবিড়ের বিকল্প পাওয়া গিয়েছে চেতেশ্বর পূজারার মধ্যে দিয়ে। কিন্তু ২০১৮ থেকে পূজারা প্রতিপক্ষের সফট টার্গেট হয়ে উঠেছে।
রাহানে-পূজারার পরিসংখ্যান:
২০১৮
থেকে
শুরু
হওয়া
রানের
খরা
অব্যহত
রাহনের
ব্যাটে।
২০১৮
সালে
বিদেশের
মাটিতে
৯
ম্যাচে
রাহানের
গড়
ছিল
২৮.৩০।
২০২০
সালে
রাহানের
পারফরম্যান্স
গ্রাফ
একটু
বাড়লেও
তা
আশানরূপ
নয়।
চার
ম্যাচে
গড়
ছিল
৩৯-এর
আশেপাশে।
২০২১
সালে
রাহানের
পারফরম্যান্স
তাঁর
কেরিয়ারে
সব
থেকে
খারাপ
বললেও
ভুল
হবে
না।
ব্যাট
হাতেই
শুধু
খারাপ
পারফরম্যান্স
করা
নয়,
রাহানের
আত্মবিশ্বাসে
যে
চির
ধরেছে
তা
প্রতি
ম্যাচে
টের
পাওয়া
গিয়েছে।
২০২১
সালে
রাহানের
গড়
২০-এর
নীচে।
পূজারার
ক্ষেত্রেও
চিত্রটা
একই
রকম।
২০২০
সালে
পূজারার
গড়
ছিল
২০.৩৭
এবং
২০২১-এ
তাঁর
ব্যাটিং
করেছেন
২৮.০৮
গড়ে।
ঘরের মাঠে ব্যর্থতা:
টি-২০ বিশ্বকাপের পর ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টেও ব্যাটে রান ছিল না পূজারা-রাহানের। কানপুর টেস্টে দুই ইনিংসে রাহানের ব্যাট থেকে এসেছিল যথাক্রমে ৩৩ এবং ৪। একটি মাত্র টেস্টই খেলেছিলেন তিনি। অপর দিকে, দু'টি টেস্টে মোট চার ইনিংস ব্যাট করে পূজারা করেছিলেন মোট ৯৫ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে অব্যহত ব্যাটিং ব্যর্থতা:
ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে রান না পেলেও নির্বাচকরা ভরসা রেখেছিলেন এই দুই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের উপর। কিন্তু সেখানেও নিরাশ করেছেন এই দুই ডান হাতি ব্যাটসম্যান। প্রথম টেস্ট ম্যাচ ভারত ১১৩ রানে জিতলেও পূজারা দুই ইনিংসে অবদান ছিল যথাক্রমে ০ এবং ১৬। রাহানের অবদান ছিল ৪৮ এবং ২০। জোহানেসবার্গে দুই ইনিংস মিলিয়ে রাহানে করেছিলেন যথাক্রমে ০ এবং ৫৮। পূজারার ব্যাট থেকে এসেছিল যথাক্রমে ৩ এবং ৫৩। উভয় ক্রিকেটার জো'বার্গ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে রানে ফেরার ইঙ্গিত দিলেও তা যে স্রেফ ক্ষণস্থায়ী ছিল তা বোঝা যায় কেপ টাউনে সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ টেস্টে। কেপ টাউনের নিউল্যান্ডসে প্রথম এবং দ্বিতীয় ইনিংসে অজিঙ্ক রাহানের সংগ্রহ ছিল যথাক্রমে ৯ এবং ১। অপর দিকে, দুই ইনিংসে চেতেশ্বর পূজারার ব্যাট থেকে এসেছিল যথাক্রমে ৪৩ এবং ৯।