লর্ডসের মাঠে স্পর্ধার ২০ বছর পূর্ণ, আজকের দিনেই এসেছিল বিখ্যাত ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জয়
ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে এ আজও যেন এই সেদিনকার ঘটনা। লর্ডসের মাঠ। ৩২৬ রান তাড়া করতে গিয়ে হঠাৎ ব্যাটিং ধস ভারতের। হাল ধরল দুই তরুণ। শেষে নিজেদের মাঠে ইংল্যান্ডের দর্পচূর্ণ। এ যেন ভারতের ক্রিকেটে স্পর্ধার দেখানোর নতুন অধ্যায় শুরু হওয়া। সেখান থেকে আর ফিরে তাকায়নি ভারতীয় ক্রিকেট। নেতৃত্বে এক বাঙালি সঙ্গে একদল তরুণ এবং বেশ কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। আজ সেই ১৩ জুলাই। ভারতের বিখ্যাত ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জয়ের কুড়ি বছর পূর্ণ হল।
সৌরভ গাঙ্গুলীর তরুণ তুর্কি
ঐতিহাসিক জয়ের আজ ২০ বছর হয়ে গেল। লর্ডস ভারতের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ একদিনের ম্যাচে রান তাড়া করে ম্যাচ এবং টুর্নামেন্ট জয়ের সাক্ষী ছিল। সৌরভ গাঙ্গুলীর তরুণ তুর্কিরা সেদিন অসাধারণ জয় এনে দিয়েছিল ভারতকে।
৩২৬ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা
ন্যাটওয়েস্ট
ট্রফির
ফাইনালে
ভারতের
সামনে
ছিল
৩২৬
রানের
বিশাল
লক্ষ্যমাত্রা।
ভালো
শুরু
করে
ভারত।
তারপরে
মাঝে
নামে
হঠাৎ
ধস।
পাঁচ
উইকেট
হারিয়ে
বিপদে
পড়ে
যায়
ভারত।
দলকে
টেনে
আনেন
যুবরাজ
সিং
ও
মহম্মদ
কাইফ।
যুবরাজ
আউট
হয়ে
গেলেও
লড়াইয়ের
জায়গা
করে
দিয়ে
যান।
শেষটা
করে
আসেন
কাইফ।
ভারতের
নতুন
প্রজন্মের
যাত্রা
শুরু
হয়।
আর
কে
বা
ভুলতে
পারে
অধিনায়ক
সৌরভ
গাঙ্গুলির
সেই
লর্ডসের
ঐতিহ্যবাহী
ব্যালকনিতে
দাঁড়িয়ে
জামা
খুলে
ওড়ানোর
দৃশ্য।
একের পর এক উত্থান পতন
ভারতের ইনিংসে একের পর এক উত্থান পতন হয়েছিল সেদিন। অত বড় রান তাড়া করতে নেমে ওপেনার বীরেন্দ্র সেওয়াগ এবং সৌরভ গাঙ্গুলী বেধড়ক মারতে শুরু করেন গফ, ফ্লিনটফ, টিউডরদের। জাইলস , ইরানি যেই আসেন মার খেয়ে চলে যাচ্ছিলেন। অ্যালেক্স টিউডর ৬০ রানে গাঙ্গুলিকে আউট করেন । সেওয়াগ ৪৫ রানে আউট হন। এরপর ইংল্যান্ড দ্রুত ফিরিয়ে দেয় দীনেশ মঙ্গিয়া, সচিন তেন্ডুলকার এবং রাহুল দ্রাবিড়কে। এই অবস্থায় কেউ ভাবেনি ভারত জিতবে। হার বাঁধা। কিন্তু যুবরাজ ও কাইফের অন্য পরিকল্পনা ছিল।
যুবরাজ এবং কাইফ ষষ্ঠ উইকেটের জন্য ১২১ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন, যা শুধুমাত্র ভারতকে খেলায় ফিরে আসতে সাহায্য করেনি কিন্তু তাদের সতীর্থদের এবং ভারতীয় ভক্তদের ফাইনালে জয়ের আশা জিইয়ে রাখে। যুবরাজকে ৬৯ রানে আউট হবার পর আরও ভারতের আরও ৫৯ রান প্রয়োজন ছিল এবং হাতে ছিল মাত্র চার উইকেট। কাইফকে সঙ্গ দেন হরভজন সিং এবং পরে জাহির খান।
অনবদ্য জয়ের মুহূর্ত
শেষে যখন দুই রান বাকি জাহির ব্যাটে বল ঠেকিয়েই ছোটেন। ওভার থ্রো হতেই দুই রান নেন তাঁরা এবং লর্ডসে লেখ হয় ভারতের জয়গাথা। আর তারপর সৌরভ গাঙ্গুলির লর্ডসের ব্যালকনিতে জার্সি ওড়ানো। হতবাক হয়ে সেই দৃশ্য দেখেছিল তথাকথিত জেন্টলমেনদের দেশ ইংল্যান্ড। সেই স্পর্ধার আজ ২০ বছর পূর্ণ হল।