সংবিধানে রাজ্য সরকারগুলির জন্য লক্ষণরেখা রয়েছে, সিএএ প্রসঙ্গে মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপালের প্রতিক্রিয়া
সংবিধানে রাজ্য সরকারগুলির জন্য লক্ষণরেখা রয়েছে, সিএএ প্রসঙ্গে মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপালের প্রতিক্রিয়া
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ যদি তাঁর রাজ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে বাস্তবায়িত না হতে দেন তবে সরকারের সঙ্গে রাজ ভবনের দ্বণ্দ্বের–মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে কংগ্রেস শাসিত এ রাজ্যে। রাজ্যপাল লাজি ট্যান্ডন এ বিষয়টি নিয়ে আগেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সিএএ–কে রাজ্য সরকার বাস্তবায়ন হতে বাধা দিতে পারে না।
সিএএ বাস্তবায়ন হতে আটকাতে পারবে না রাজ্য
ট্যান্ডন বলেন, ‘সংবিধানে রাজ্য সরকারগুলির জন্য লক্ষণ রেখা (বিধি-নিষেধ) রয়েছে। যে কোনও বিল লোক সভা ও রাজ্য সভায় পাশ হওয়ার পর তা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর আইনে পরিণত হয়। তাই দেশের কোনও রাজ্যই একে বাস্তবায়িত করার জন্য অস্বীকার করতে পারে না।' মধ্যপ্রদেশেও যদি এই সিএএ বাস্তবায়িত না হয় তবে কেরলের মতো এ রাজ্যেও রাজ্যপাল-রাজ্য সরকারের সংঘাত শুরু হবে, আভাস দিয়ে জানান রাজ্যপাল। কেন্দ্র সরকারের এই আইন বাস্তবায়িত না করার জন্য নিজের জায়গায় অনড় হয়ে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার।
অ–বিজেপি শাসিত রাজ্যে সিএএ নয়
পাঞ্জাব, রাজস্থান, কেরল এবং ছত্তিশগড়ে বিজেপি শাসিত নয় এমন রাজ্যগুলিতে হয় রাজ্য পরিষদের মাধ্যমে অথবা মন্ত্রীসভার মাধ্যমে সিএএ বিরুদ্ধ প্রস্তাবগুলি পাশ হয়েছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মধ্যপ্রদেশে ১৫ বছর পর কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে সিএএ এ রাজ্যে বাস্তবায়িত হবে না। গত মাসেই কমল নাথের নেতৃত্বে সিএএ-এর বিরুদ্ধে জনসভাও হয় ভোপালে।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় রাজ্যপাল
বৃহস্পতিবার গান্ধীজির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ভোপালের মিন্টো হলে মুখ্যমন্ত্রী বেশ কিছু প্রকল্পের ঘোষণা করেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রাম বন গমন পথ, শ্রীলঙ্কায় সীতা মন্দির এবং হনুমান চল্লিসা পথ। এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী সনাতন সংস্কৃতিকে ধরে রয়েছেন, আমি তার জন্য তাঁকে পছন্দ করি।'