বিজেপির রিপোর্ট প্রতিহিংসামূলক, তদন্ত ছাড়াই কীভাবে জেলা সভাপতির নাম! বিস্ফোরক মমতা
রামপুরহাট-কাণ্ড নিয়ে ক্রমশ চড়ছে রাজনৈতিক তরজা। ঘটনার পর থেকেই ময়দানে নেমেছে বিজেপি। এমনকি ঘটনার আসল তথ্য জানতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিও তৈরি করা হয়।
রামপুরহাট-কাণ্ড নিয়ে ক্রমশ চড়ছে রাজনৈতিক তরজা। ঘটনার পর থেকেই ময়দানে নেমেছে বিজেপি। এমনকি ঘটনার আসল তথ্য জানতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিও তৈরি করা হয়। প্রাক্তন পুলিশ কর্তাদের নিয়ে এই টিম তৈরি করে দেন বিজেপি'র সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডা।
আর সেই টিম রামপুরহাট-কাণ্ডের একটি রিপোর্ট তুলে দিয়েছে। আর সেই রিপোর্ট নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ বুধবার দার্জিলিংয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। সেখানে তিনি বলেন, সিবিআইকে সবরকম ভাবে সাহায্য করা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবারও ভাদু শেখ খুনে আমাদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কিন্তু এরপরেও কীসের রিপোর্ট। প্রেসিডেন্টকে রিপোর্ট দিচ্ছে। আর তা ঘটনা তদন্ত না করেই।
নিজস্ব এই রিপোর্ট দিয়ে তদন্তে প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এমনকি এই রিপোর্টের ভিত্তিতে সিবিআইয়ের উপর চাপ তৈরির চেষ্টা করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা তাঁর। এমনকি সিবিআই তদন্তকে দুর্বল করে তুলবে বলেও মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির এহেন রিপোর্টের তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি আরও বলেন, আমি ওদের রিপোর্ট দেখেছি। ওরা রিপোর্টে আমার জেলা সভাপতির নাম রেখেছে। আর তা তদন্ত না করেই কীভাবে জেলা সভাপতির নাম রাখা হল। প্রতিহিংসার রাজনীতি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
একদিকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণের পাশাপাশি অনুব্রত মন্ডলের পাশেও এদিন দাঁড়িয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তাঁর মতে, বিজেপি চায় তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে গ্রেফতার করা হোক। এটা বক্তিগত উদ্দেশ্য। দেশে যে'ই বিজেপির বিরোধিতা করছে, তাঁকেই গ্রেফতার করছে বলেই মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর। এটা ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে এবং ষড়যন্ত্র বলেও মন্তব্য তাঁর। আর এরপরেই ফের একবার কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, যেই বিজেপির বিরোধীতা করবে তাঁকেই গ্রেফতার করার ভয় দেখানো হবে? এটা ঠিক নয় বলে স্পষ্ট বার্তা প্রশাসনিক প্রধানের।
উল্লেখ্য, বীরভূমের রামপুরহাটে যে গণহত্যার ঘটনা ঘটে তা নিয়ে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট দাখিল করে বিজেপি। বঙ্গ বিজেপির পাঁচ সদস্যের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটি বুধবার দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে যে রিপোর্ট পেশ করেছে। তাতে স্পষ্ট করে বলা আছে, এই কাজ রাজ্যের শাসকদলের মদতপুষ্ট মাফিয়াদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে।
এমনকি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। যা দেখে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে দাবি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। শুধু তাই নয়, বাংলায় কোনও আইন নেই বলেও দাবি। আর এই রিপোর্ট নিয়েই প্রশ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।