নজরবন্দি বীরভূমের বেতাজ বাদশা! অনুব্রত মন্ডল বাইরে থাকলে নির্বাচন প্রভাবিত হত, আশঙ্কা দিলীপের
বীরভূমে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যে অনুব্রত মন্ডলকে নজরবন্দি করা হয়েছে। তাই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতিকে নিশানা করেছে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।
বীরভূমে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যে অনুব্রত মন্ডলকে নজরবন্দি করা হয়েছে। তাই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতিকে নিশানা করেছে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। ২৯ মে বাড়ির লোকের সঙ্গে বসে সাপ লুডো খলেবেন অনুব্রত মণ্ডল। কটাক্ষ করে এমনই মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা।
শুধু শমীক ভট্টাচার্য নয়, কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ছেন দিলীপ ঘোষও। যদিও অনুব্রত মণ্ডল অবশ্যে কমিশনের নির্দেশিকার পরে খেলা হবে স্লোগান তুলেছে।
নজরবন্দি করা হল অনুব্রত মন্ডলকে
নির্দেশিকা অনুযায়ী ঠিক সাড়ে ৭টার পর অনুব্রত মন্ডলের বীরভূমের পার্টি অফিসে পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রায় ৭ থেকে ৮জনের একটি টিম পৌঁছে যায় অনুব্রত মন্ডলের কাছে। তাঁদের সঙ্গেই রয়েছেন কমিশনের এক আধিকারিকও। যদিও নজরবন্দি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ওই আধিকারিক। তিনি জানিয়েছেন, জেলা শাসকের নির্দেশেই তারা এসেছেন। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত অনুব্রত মন্ডলের সঙ্গেই তারা থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ নজরবন্দি অবস্থায় অনুব্রত মন্ডল!
নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়
এই প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, উনি বাইরে থাকলে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। শুধু তাই নয়, অনুব্রত মন্ডল বাইরে থাকলে নির্বাচন প্রভাবিত হবে বলে মনে করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা গেলে ওনাকে করা যাবে না কেন? দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, উনি বাইরে থাকলে বলবেন পুলিশকে বোমা মারো! তাঁর এহেন মন্তব্যে পুলিশও কাজ করতে পারবে না। চাপ বাড়বে। শুধু তাই নয়, বিরোধীরাও আতংকে থাকবেন বলে দাবি দিলীপের।
শমীকের কটাক্ষ
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য অনুব্রতর উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন একাধিক রোগ আছে অনুব্রতর সেই কারণেই তিনি যাননি সিবিআইয়ের দফতরে। এই করোনা পরিস্থিতিতে ভোটের দিন বাইরে বেরিয়ে ঝুঁকি না নেয়াই ভাল। পার্টি অফিসে বসে সাপ-লুডো খেলবেন। এমনই কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা।
খেলা হবে বললেন অনুব্রত
নজরবন্দি মানে তো গৃহবন্দি নয়। একা কমিশনের রুটিন কাজ। আগে করেছিল এবার করেছে। নজরবন্দি মানে আমার সঙ্গে একটা ক্যামেরা সবসময় ঘুরবে। কাজেই খেলা হবে। ফের হুঙ্কার দিয়েছেন অনুব্রত। সিআরপিএফ বাড়াবাড়ি করতে এলে খেলা হবে। ২০০-র বেশি আসনে জিেত গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ৩৫ আসনে সংখ্যা বাড়বে মাত্র। আত্মবিশ্বাসী অনুব্রত দাবি করেছেন তৃণমূলের জয় হবেই।