বীরভূমে ১১-য় ১১ দেব, কমিশনের নজর মুক্ত হয়েই তৃণমূলের জয়ের ডঙ্কা বাজালেন অনুব্রত
বীরভূমে ১১-য় ১১ দেব, কমিশনের নজর মুক্ত হয়েই তৃণমূলের জয়ের ডঙ্কা বাজালেন অনুব্রত
সকাল সাতটায় নজরবন্দি থেকে মুক্ত হয়েছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডল। ভোট শেষ হতেই ফের স্বমহিমায় ফিরলেন তিনি। বীরভূমে খেলা হয়ে গিয়েছে। বীরভূমের ১১-য় ১১ দেব দিদিকে। জয়ের ডঙ্কা বাজিয়ে দিলেন তিনি। এক্সিট পোলের অঙ্কেও তৃণমূলের পাল্লা ভারী। তাই ইভিএম খোলার আগেই জয়ের দাবি করেছেন তিনি।
নজরে বীরভূম
প্রথম থেকেই দিল্লির নেতাদের নজরে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রথম বোলপুরেই রোড শো করেন অমিত শাহ। বীরভমের তৃণমূলের ঘাঁটিতে আঘাত হানতে স্মৃতি ইরানি, যোগী আদিত্যনাথ থেকে শুরু করে রাজনাথ সিং সকলকে প্রচারের ময়দানে নামিয়ে দিয়েছিলেন শাহ। ভোটের নির্ঘণ্টে বীরভূমকে শেষ দফায় রাখার কারণ ছিল বিপুল কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারি। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বীরভূমের ১১টি আসনে ভোট করাতে ২২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী নামিেয় দেয় কমিশন।
নজরবন্দি অনুব্রত
ভোটের আগের দিন থেকেই বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করে কমিশন। মঙ্গলবার বিকেল থেকে কমিশনের প্রতিনিধিদল এবং বাহিনীর সর্বক্ষণের নজরে ছিলেন তিনি। এরই মাঝেই কামাল দেখিয়ে ফেলেছেন কেষ্ট। ভোটের আগের দিন বুধবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে হঠাৎই উঠাও হয়ে যান তিনি। প্রায় আড়াই ঘণ্টা কমিশনের প্রতিনিধি দল তাঁতে হন্যে হয়ে খুঁজেছে। কিন্তু কিছুতেই খোঁজ মেলেনি অনুব্রতর। শেষে তারাপীঠের মন্দিরে তাঁর হদিশ মেলে।
অনুব্রতকে নোটিস
ঠিক ভোটের আগেই অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিস পাঠায় সিবিআই। হিসাব বহির্ভুত আয় রাখার অভিযোগে নোটিস পাঠানো হয়। তবে চিঠিপাঠিয়ে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তদন্তকারী সংস্থার কাছে সময় চেয়ে নিয়েছিলেন তিনি। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে অনুব্রতর পাশে দাঁড়িয়ে সিবিআইয়ের কাছে না যাওয়ার কথা বলেছিলেন। তারপরেই ভোটের আগের দিন কমিশনের প্রতিনিধিদের চোখে ধুলো দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়েও অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিস পাঠানো হয়।
স্বমেজাজে অনুব্রত মণ্ডল
ফের স্বমেজাজে ফিরলেন অনুব্রত মণ্ডল। আজই সকাল ৭টায় কমিশনের নজর মুক্ত হয়েছেন তিনি। তারপরেই অনুব্রতর দাবি বীরভূমে ১১-য় ১১ দেব তৃণমূল কংগ্রেসকে। যা খেলা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। এদিকে আজ সকাল থেকেই বীরভূমে ভোট পরবর্তী হিংসা শুরু হয়ে গিয়েছে। নানুর, ময়ূরেশ্বরে বিজেপি নেতা কর্মীদের বাড়িতে বোমাবাজি, বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে।