পৌষমেলা কী হবে এবার? জল্পনা বাড়িয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি বিশ্বভারতীর উপাচার্যের
পৌষমেলা কী হবে এবার? জল্পনা বাড়িয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি বিশ্বভারতীর উপাচার্যের
করোনা সংক্রমণের কারণে ৩ বছর পৌষ মেলা করতে সাহস দেখায়নি বিশ্বভারতী। এবার পৌষ মেলা করতে চেয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখলেন উপাচার্য। শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলার ফের আয়োজন করতে চান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তার জন্য রাজ্য সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। সেকারণ মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখেছেন তিনি। পৌষ মেলার আয়োজন না করায় গতবছর বিশ্বভারতী উপাচার্যকে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল।
পৌষমেলার উদ্যোগে
এবার আগে থেকেই উদ্যোগী বিশ্বভারতী। পৌষমেলা করার জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। দায়িত্বে আসার পর থেকে একাধিক ইস্যুতে বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া নিয়ে শাসক দলের সঙ্গেও বিবাদে জড়িয়েছেন তিনি। তার পরে পর পর তিন বছর পৌষমেলা করা হয়নি। ২ বছর করোনার কারণে বন্ধ রাখা হয়েছিল মেলা। কিন্তু ২০২১ সালেও কোনও রকম মেলার আয়োজন করার উদ্যোগ নেননি তিনি। এই নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। এবার তাই আগে থেকেই মেলার আয়োজন করার উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্বভারতী। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নিজের উদ্যোগেই রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছেন।
পৌষমেলা নিয়ে টানাপোড়েন
গতবার বিশ্বভারতী পৌষ মেলার আয়োজন না করায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল উপাচার্যকে। এমনকী বিশ্বভারতীর আশ্রমিকদের কাছে তীব্র সমালোচনার স্বীকার হতে হয়েছিল তাঁকে। প্রতিবছর শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা এবং বসন্ত উৎসব দেখার জন্য পর্যটকরা ভিড় করেন। কিন্তু নতুন উপাচার্য আসার পর থেকেই এই দুটি উৎসবে ছেদ পড়েছে। বসন্তোৎসব এবং পৌষমেলা দুটোর কোনওটাই আয়োজন করা হয়নি। এই নিয়ে ছাত্রছাত্রী, আশ্রমিক থেকে শুরু করে পর্যটক এবং স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী সকলের কাছেই তীব্র সমালোচনার শিকার হতে হয়েছিল তাঁদের।
ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে বিরোধ
বিশ্বভারতীক উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে বোলপুরের স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির প্রবল বিরোধ বাঁধে। গতবার মেলার আয়োজন না করায় বিশ্বভারতীর উপাচার্যের সঙ্গে ব্যবসায়ী সমিতির বিরোধ তৈরি হয়েছিল। এমনকী যেখানে সেখানে পাঁচিল তুলে দিয়ে রাস্তা বন্ধ করা নিয়ে তীব্র অশান্তি শুরু হয়েছিল বিশ্বভারতীতে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিলেন উপাচার্য। তারপরেই এই নিয়ে তুমুল টানাপোড়েন তৈরি হয়। বিজেপির মদতে উপাচার্য কাজ করছেন বলে অভিযোগ ওঠে। ছাত্রদের সঙ্গেও বিবাদে জড়িয়েছেন উপাচার্য।
বিকল্প মেলা
গতবার শান্তিনিকেতনের মেলা না হওয়ায় বীরভূম জেলা টিএমসি সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের উদ্যোগে ডাকবাংলা ময়দানে মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে বিপুল সাফল্য আসে। তাই নিয়ে আর বেশি আশ্রমিক এবং পর্যটকদের কাছে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিলে উপাচার্যকে। সেকারণেই এবার হয়তো তোরজোর করে আগে থেকেই শান্তিনিকেতনের পৌষমেলার আয়োজনের জন্য মুখ্যসচিবক চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। ২৯ জুুন চিঠি লিখছেন উপাচার্য।
Weather update: আষাঢ়ে শরতের আকাশ, বর্ষার বৃষ্টি নিয়ে কী জানাল হাওয়া অফিস?