ক্রমণ শান্তি হারাচ্ছে শান্তিনিকেতন, রাস্তার দাবিতে ছাতিম তলায় অবস্থান উপাচার্যের, পাল্টা বিক্ষোভ পুড়ুয়াদের
রাজনীতির আঁচ পড়তেই অশান্ত হয়ে উঠেছে শান্তিনিকেতনের আশ্রম প্রাঙ্গন। তাতে সামিল উপাচার্য নিজেও। নজিরবিহীন ভাবে ছাতিম তলায় অবস্থান বিক্ষোভে বসেন উপাচার্য। দাবি ছিল কাচ ঘরের সামনে রাস্তার অদিকার বিশ্বভারতীকে ফিরিয়ে দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। কয়েকদিন আগে যার অধিকার ফেরৎ নিয়ে নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই রাস্তা ফেরানোর দাবিতে কর্মী, অধ্যাপক ও অধ্যাপিকাদের নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন তিনি। তার পাল্টা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে ছাত্রছাত্রীরা। অন্যদিকে আবার বোলপুরের ব্যবসায়ী সংগঠনও উপাসনা গৃহের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন উপাচার্যের বিরুদ্ধে।

সকাল থেকেই সরগরম হয়ে উঠেছিল বিশ্বভারতীর আশ্রম প্রাঙ্গন। উপাচার্য নিজে ছাতিমতলায় অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। যদিও সেটা ছিল মৌন অবস্থান। পূর্ত দফতের কাছ থেকে উপাসনা গৃহের সামনের রাস্তা ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন কিন্তু উপাচার্যকে বিজেপির সমর্থক দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই রাস্তা পূর্তদফতরের হাতে তুলে দিেয়ছেন।
এদিকে উপাচার্যের বিরোধিতায় উপাসনা গৃহের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ছাত্রছাত্রীরা। বিশ্বভারতী ঐক্য মঞ্চ নামে পরিচিত। তাঁদের দাবি অনৈতিক ভাবে বরখাস্ত করা অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে পুনরায় বহাল করতে হবে। উপাচার্য বিশ্বভারতীতে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে জায়গা করে দিচ্ছে এবং নিজে এক নায়কতন্ত্র চালানোর চেষ্টা করছেন। সেটা কোনও ভাবেই হতে দেওয়া যাবে না।
তৃতীয় বিক্ষোভটি শুরু করেন বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা। উপাসনা গৃহের সামনে একই সময়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। মেলার জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যে সিকিউরিটি মানি নিয়েছিল সেটা ফেরত দিতে হবে। মেলা না হলেও সেই টাকা এখনও ফেরত দেওয়া হয়নি। এই নিয়ে তুমুল বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় বিশ্বভারতীর আশ্রম প্রাঙ্গনে। নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এর প্রতিবাদে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলে দাবি জানিয়েছেন।