জমি দখল করে রয়েছেন নোবেলজয়ী, অমর্ত্য সেনকে চিঠি ধরিয়ে বিস্ফোরক দাবি বিশ্বভারতীর উপাচার্যের
অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের
নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদকে জমি দখল করে রাখার চিঠি ধরাল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। প্রতীচী নামে যে বাড়িটিতে অমর্ত্য সেন থাকেন। সেই বাড়িটিতে তাঁদের যে জমি বরাদ্দ করা হয়েছিল। তার থেকে বেশি জমি দখল করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্বভারতীয় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিশ্বভারতীয় এই চিঠি পাওয়ার পর কড়া জবাব দিয়েছেন অমর্ত্য সেনও।
অমর্ত্য সেনকে চিঠি বিশ্বভারতীর
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে চিঠি ধরাল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জমি দখলের অভিযোগ করা হয়েছে। অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর যে বাড়িটিতে থাকেন তার নাম প্রতীচী। সেটি তিনি তাঁর মায়ের কাছ থেকে পেয়েছেন। অর্থাৎ মায়ের বাবা সেই বাড়িটিতে থাকতেন। সেখানেই তিনি বড় হয়েছে। বিশ্বভারতীতেই পড়াশোনা করেছেন। সেই বাড়িটি নাকি অতিরিক্ত জমি দখল করে রয়েছে বলে দাবি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। সেকারণেই অমর্ত্য সেনের উপস্থিতিতেই সেই জমি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে চিঠি দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
পাল্টা জবাব অমর্ত্য সেনের
বিশ্বভারতীর চিঠি পাওয়ার পর পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতি বিদ। তিনি বলেছে, গোটা বিষয়টাই মিথ্যে। তিনি জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী এই চিঠির জবাব দেবে। তিনি তীব্র আসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, পুরো বিষয়টাই মিথ্যে এবং বানানো। ওঁদের রুচিতেই এই সব মানায় বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন একটি অংশের জমি বিশ্ববারতী থেকে লিজ নেওয়া ঠিকই। বাকি অংশটা তিনি কিনে নিয়েছেন। তাঁকে চিঠি দিয়ে মিথ্যে দাবি করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পাল্টা অভিযোগ নোবেল জয়ীর।
জমির ইতিহাস কী বলছে
বিশ্বভারতীতে যে বাড়িটিতে অমর্ত্য সেন বাস করেন সেই জমিটি তাঁর বাবা আশুতোষ সেনকে লিজে দিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই বাড়ির জমির লিজ শেষ হওয়ার পর অমর্ত্য সেনের নামে লিজ নেওয়া হয়। আর বাড়ির বাকি জমি কেনা। তার পরেও এই দাবি করছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নোবেলজয়ী। অনেকেই মনে করছেন সম্প্রতি অমর্ত্য সেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে বলে যে মন্তব্য করেছেন। সেই কারনেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এই চিঠি ধরিয়েছে তাঁকে। পুরোটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
কী বলছেন উপাচার্য
বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে নিয়ে অসন্তোষের শেষ নেই। যবে থেকে তিনি উপাচার্য হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন তবে থেকে অশান্তি চরমে উঠেছে। একের পর এক নিয়ম ভাঙছেন তিনি। বিশ্বভারতীরক মুক্ত পরিবেশকে বদ্ধ করে তুলেছেন একের পর এক পাঁচিল তুলে। পৌষ মেলা -বসন্তোৎসব বন্ধ করে দিয়েছেন। এমনকী অধ্যাপকরাও তাঁর প্রতি অসন্তুষ্ট। তাঁর বিরুদ্ধে লাগাতার বিক্ষোভ চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার মধ্যে অমর্ত্য সেনকে চিঠি দেওয়া নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য দাবি করেছেন আগেই জমি দখলের কথা নোবেল জয়ীকে জানানো হয়েছিল। তাই এবার তাঁর উপস্থিতিতে চিিঠ দেওয়া হয়েছে। যাতে সমস্যা বেশি না হয়।
'আকাশ প্রমাণ দুর্নীতি হয়েছে', বিধাননগর হাসপাতালে যাওয়ার পথে বিস্ফোরক কুন্তল ঘোষ