মন্ত্রীর দোষে হার, জবাব অনুব্রতকে! দিনে তৃণমূল আর রাতে বিজেপি, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বুথ সভাপতির
দিন যত যাচ্ছে তৃণমূলের বুথ সভাপতিদের গলার জোর যেন ততই বাড়ছে। মহম্মদবাজারে ব্লকের বুথ ভিত্তিক সভায় হারের কারণ জিজ্ঞাসা করায় এক বুথ সভাপতির সরাসরি উত্তর মন্ত্রীর দোষে হার হয়েছে। মন্ত্রী যাঁকে নিয়ে চল
দিন যত যাচ্ছে তৃণমূলের বুথ সভাপতিদের গলার জোর যেন ততই বাড়ছে। মহম্মদবাজারে ব্লকের বুথ ভিত্তিক সভায় হারের কারণ জিজ্ঞাসা করায় এক বুথ সভাপতির সরাসরি উত্তর মন্ত্রীর দোষে হার হয়েছে। মন্ত্রী যাঁকে নিয়ে চলেন, তিনি দিনে তৃণমূল করে আর রাতে বিজেপি।
২৪ ঘন্টার দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা কমল! ফের আক্রান্তের থেকে বাড়ল সুস্থতার সংখ্যা
হারলে কেন ভাই, সঙ্গে সঙ্গে উত্তর মন্ত্রীর দোষে
বীরভূম জেলাপরিষদের মেন্টর ডাকলেন বুথ নম্বর ২৪১। বুথ সভাপতি ফাইজুর রহমান বলেন, ১৮১ ভোটে তারা বিজেপির থেকে পিছিয়ে। অনুব্রত মণ্ডলের প্রশ্ন ছিল, হারলে কেন ভাই? সঙ্গে সঙ্গে ওই নেতার উত্তর মন্ত্রীর দোষে। সেখানকার নেতা মন্ত্রীর ছত্রছায়ায় রয়েছে। সে দিনে তৃণমূল করে আর রাতে বিজেপি।
কেন হারলাম, প্রশ্ন অনুব্রতর
রঞ্জিত হাজরা নামে বুথ সভাপতিকে অনুব্রত মণ্ডল প্রশ্ন করেন, তাঁর এলাকায় কেন তৃণমূল হারল। সেই সময় ওই বুথ সভাপতি বলেন, কর্মীদের দোষেই হার হয়েছে। সভাপতিই ভালভাবে কাজ করছে না বলে অভিযোগ করেন ওই বুথ সভাপতি। এলাকার দেবগ্রামের রাস্তা খারাপের অভিযোগ অনুব্রত মণ্ডলের সামনে তুলে ধরেন ওই নেতা।
অনুব্রত মণ্ডলের প্রশ্ন
মহম্মদবাজার ব্লকে বুথভিত্তিক সভায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি বলরাম দাসকে অনুব্রত মণ্ডলের প্রশ্ন কত ভোটে পিছিয়ে আছেন? সঙ্গে সঙ্গে বুথ সভাপতির উত্তর লোকসভায় তৃণমূল বিজেপির থেকে ৩৩৩ ভোটে পিছিয়ে আছে। এরপর অনুব্রত মণ্ডলের প্রশ্ন হারলেন কেন?
অনুব্রত-র মুখেরও ওপর জবাব
বুথ সভাপতি বলেন, তাদের ১ নম্বর অঞ্চলে তৃণমূলের উপপ্রধান, সেখানে ১০০ দিনের কাজ হলে জানা যাচ্ছে না। গরিব মানুষ ১০০ দিনের কাজ পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বিষয়টি অঞ্চল সভাপতি এবং ব্লক সভাপতিকে জানানো হয়েছে। বৈঠকের আগে তৃণমূলের উপপ্রধান পাড়ায় গাছ বিলি করছেন বলেও অভিযোগ করেন ওই বুথ সভাপতি। তবে উপায় বাতলে দেন অনুব্রত মণ্ডল। দিন দুয়েকের মধ্যে পঞ্চায়েতে একটি টিম যাবে। সেখানেই ১০০ দিনের কাজে টাকা না পাওয়ার কথা তুলে ধরতে হবে।
তৃণমূলের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ
আরও অভিযোগ তৃণমূলের উপপ্রধান সাধারণ মানুষকে বলছেন মিটিং-এ না যেতে। বুথ সভাপতি বলেন, তারা কষ্ট করে সংগঠন করছেন আর উপপ্রধান বলছেন মিটিং-এ না যেতে। এই পরিস্থিতিতে তারা কী করে সংগঠন করবেন, প্রশ্ন করেন ওই নেতা।