'বলির পাঁঠা করা হয়েছে', জেরায় সিবিআইয়ের কাছে বিস্ফোরক আনারুল, জেরার মুখে মিহিলালও
'বলির পাঁঠা করা হয়েছে', জেরায় সিবিআইয়ের কাছে বিস্ফোরক আনারুল, জেরার মুখে মিহিলালও
রামপুরহাট কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত আনারুল হোসেনকে জেরা করেছে সিবিআই। প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয় আনারুল হোসেনকে। জেরার মুখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তৃণমূল ব্লক সভাপতি। তিনি দাবি করেছেন এই ঘটনায় তাঁর কোনও হাত নেই। তাঁকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে। এদিকে আজই প্রত্যক্ষদর্শীর খোঁজে বাতাসপুরে যাচ্ছে সিবিআইয়ের বিশেষ দল।
উঠে আসছে একের পর এক তথ্য
সিবিআই তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক তথ্য-প্রমাণ হাতে আসতে শুরু করেছে। গতকালই বগটুই গ্রামের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তদন্তকারী আধিকারীকরা। সেখানে সোনা শেখের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বগটুই হত্যাকাণ্ডের খুনের অস্ত্র। একটি হাঁসুয়া এবং একটি শাবল উদ্ধার হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী এক কিশোর জানিয়েছিল যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল তার মা এবং কাকিমাকে। তারপর ঘরে শিকল তুলে দিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তারপরেই খুনের অস্ত্রের সন্ধান শুরু করেন সিবিআই অফিসাররা।
আনারুলকে ৮ ঘণ্টা জেরা
এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে গতকালই হাতে পেয়েছে সিবিআই। হাইকোর্টের নির্দেশ মত আনারুল সহ এই ঘটনায় ধৃতদের সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া। গতকাল আনারুলকে হাতে পাওয়ার পর প্রায় ৮ ঘণ্টা জেরা করেন তদন্তকারীরা। জেরা চলাকালীন কান্নায় ভেঙে পড়েন আনারুল। তিনি দাবি করেছেন এই ঘটনায় তিনি কোনও ভাবেই জড়িত নন। তাঁকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে। এর আগেও আনারুল নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে এসেছিল। বারবার অনুব্রত মণ্ডলের দিকেই আঙুল তুলেছিলেন তিনি।
জেরা হতে পারে মিহিলালকেও
এদিকে এই ঘটনায় একই পরিবারের যে ৬ জনের প্রাণ গিয়েছে সেই পরিবারের সদস্য মিহিলালকেও জেরা করার কথা ভাবছে সিবিআই। মিহিলালের পরিবারের সঙ্গে ভাদু শেখের পরিবারের কোনও শত্রুতা ছিল কিনা তা তদন্ত করে দেখতে চায় তাঁরা। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বগটুই গ্রামে মিহিলালের সঙ্গে দেখা করেছিলে। তাঁর পরিবারকে আর্থিক সাহায্য এবং চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মিহিলাল এই ঘটনার পর থেকেই গ্রাম ছাড়া। তিনি গ্রামে ফিরতে চাইছেন না।
প্রত্যক্ষদর্শীদের খোঁজ
তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর থেকেই সিবিআই অফিসাররা প্রত্যক্ষদর্শীদের খোঁজ করছেন। সাঁইথিয়ায় যাচ্ছে সিবিআইএর একটি দল। সেখানে বাতাসপুরে কোনও এক প্রত্যক্ষ দর্শীর সন্ধান পেয়েছেন তাঁরা। তাঁকে জেরা করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। মিহিলালকেও রামপুরহাটে জেরার জন্য ডাকা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে এই ঘটনার তদন্তে যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয় সেকারণে সিবিআই অফিসারদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। বগটুই গ্রামেও সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে মোতায়েন রয়েছে সিআরপিএফ জওয়ান।