প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে হুমকি তৃণমূল নেতার! কাস্তে দিয়ে সিপিএম নেতাদের গলায় টান, বিজেপির বডি ফেলার হুঁশিয়ারি
সামনে পঞ্চায়েত ভোট। উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাড়ি উপড়ানোর উস্কানি দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে সিপিএম ও বিজেপি নেতাদের খুনের হুমকি দিলেন। এই ঘটনা শুক্রবার বিকেলের,
সামনে পঞ্চায়েত ভোট। উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাড়ি উপড়ানোর উস্কানি দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে সিপিএম ও বিজেপি নেতাদের খুনের হুমকি দিলেন। এই ঘটনা শুক্রবার বিকেলের, ঘটনাস্থল বীরভূমের নানুর। নেতার নাম গদাধর হাজরা।
মঞ্চ থেকে সিপিআইএমকে নিশানা
বীরভূমের নানুরের তৃণমূল নেতা গদাধর হাজরা এবার প্রকাশ্য মঞ্চ থেকেই সরাসরি বিরোধীদের খুনের হুমকি দিলেন। শুক্রবার বিকেলে তিনি তিনি সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিমে অস্ত্রে সান দিয়ে রাখুন, মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেন, তারা (সিপিএম) অস্ত্রে সান দেবেন। গত ৩৪ বছর ধরে লড়াই করছেন। এবার তারা (তৃণমূল) কাস্তে আপনাদের (সিপিএম) গলায় লাগিয়ে টেনে দেবে।
জবাব দিলীপ ঘোষকে
গদাধর হাজরা, বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের তৃণমূল কর্মীদের বুকে পা দেবার মন্তব্যর পরিপেক্ষিতে বলেন, এবার বুকে পা দিতে এলে তা তারা (তৃণমূল) কেটে আলাদা করে দেবেন। যা আর দেহের সঙ্গে থাকবে না।। দেখবেন রাস্তার ধারে বডি পরে থাকবে।। এমনকি বিরোধীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, এবার যদি চোর বলে মিছিল করেন তাহলে আর মিছিল করতে দেওয়া হবে না।
বিজয়া সম্মিলনী থেকে হুঁশিয়ারি
দুর্গা পুজোর পর নানুর বিধানসভার কীর্নাহার দুনম্বার অঞ্চলে শুক্রবার বিকেলে ১৫ টি বুথে একই সময় বিজয়ার সম্মিলনীয় কর্মসূচি নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এখানে পঞ্চায়েতের অঞ্চল স্তর ও ব্লক স্তরের সমস্ত তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নেতারা উপস্থিত ছিলেন। একই সময় তৃণমূলের নেতারা ১৫ টি বুথে গিয়ে সম্মেলন করেন। সেই রকমই একটি বিজয়ী সম্মিলনীতে কীর্নাহার ২ নাম্বার অঞ্চলে গোমাই গ্রাম উপস্থিত ছিলেন নানুরের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক গদাধর হাজরা। সেখানেই তিনি একের পর এক হুমকি দেন।
অনুপস্থিত অনুব্রত মণ্ডল
দীর্ঘ সময় ধরে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। একের পর এক ভোট তিনিই উতরে দিয়েছেন, গুড়-বাতাসা, চড়াম চড়াম ঢাক বাজানোর কথা বলে। এবার তিনি গরুপাচার মামলায় জেলে। কবে ছাড়া পাবেন, তা কেউই বলতে পারছেন না। সেই পরিস্থিতিতে উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে বীরভূমের রাজনৈতিক মহল। শাসকদলের নেতার মুখে হুমকি। ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি এবারও রক্তপাতহীন পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে না বীরভূমে। অন্যবারের মতোই উত্তপ্ত হয়ে উঠবে পরিস্থিতি?