অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে সিবিআই নজরে থাকা 'নব্য' তৃণমূলীই বীরভূম জেলার মুখ! চিঠি দিয়ে জানালেন সুব্রত বক্সি
গরুপাচার মামলায় জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। কবে তিনি ছাড়া পাবেন, তা কেউ বলতে পারছেন না। তবে সিবিআই-এর পরে ইডি পালা করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। অন্যদিকে সময় ধীরে ধীরে এগোচ্ছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিকে। সেই পরিস্থিতিতে ব
গরুপাচার মামলায় জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। কবে তিনি ছাড়া পাবেন, তা কেউ বলতে পারছেন না। তবে সিবিআই-এর পরে ইডি পালা করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। অন্যদিকে সময় ধীরে ধীরে এগোচ্ছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিকে। সেই পরিস্থিতিতে বীরভূমে দলের মুখ ঠিক করে ফেলল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি এব্যাপারে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন।
অনুব্রত অবর্তমানে রানা সিংই জেলার মুখ
তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, রানা সিং তাদের দলের বীরভূমের মুখ। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরীর মতো পুরনো তৃণমূল নেতাদের পেছনে ফেলে রানা সিং এবার অনুব্রত মণ্ডলের জায়গা নিতে চলেছেন।
আদি তৃণমূলীদের মাথায় নব্য তৃণমূলী
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে লাভপুরের বিধায়ক নির্বাচন হন রানা সিং। এছাড়াও এই রানা সিং তাঁর এতটাই বিশ্বস্ত যে তাঁকে বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরীর ওপরেও বসিয়ে দেন অনুব্রত মণ্ডল। মাথায় রাণা সিংকে বসিয়ে অনুব্রত মণ্ডল নতুন পদ তৈরি করে নাম দেন মেন্টর। অনুব্রত মণ্ডল জেলা সভাপতি থাকলেও তৃণমূল বীরভূমের নেতা হিসেবে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলা, চিঠি করা সবটাই করতেন রানা সিং।
বিরোধিতা করেছিলেন কাজল শেখ
বীরভূমের আদি তৃণমূলী কাজল সেখের মতো অনেকেই রাণা সিংকে দলে নেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ এই নেতা দলের শীর্ষ পদে চলে যান। এই রানা সিংকে নিয়েই অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে শেখ কাজলের বিরোধ শুরু। দুপক্ষের মারামারিতে খুনোখুনিও হয়।। কাজল শেখ অভিযোগ করেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে সুপারি কিলার এনে তাঁকে খুনের চেষ্টাও করা হয়েছে। দিন কয়েক আগে অনুব্রত মণ্ডলের নাম না করে ফেসবুক পোস্টে কটাক্ষও করেন কাজল শেখ।
রানা সিং-এর রাজনৈতিক পরিচিতি
একটা সময়ে ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা নেতা প্রয়াত মন্ত্রী ভক্তিভূষণ মণ্ডলের আপ্তসহায়ক ছিলেন রাণা সিং। ২০১১ সালে সরকার বদলের পর তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। তারপর থেকে তাঁর উত্থান ছিল চোখে পড়ার মতো।
সিবিআই নজরে
অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারের পরে যে কয়েকজন সিবিআই নজরে রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রানা সিং অন্যতম। কিছুদিন আগে নেপালে একটি মেডিকেল কলেজে তাঁর বিনিয়োগ আছে বলে সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। সেখানে আরও বলা হয়, লাভপুরের বিধায়ক হিসেবে নিজের প্রভাব খাটিয়ে লাভপুরের ৭ জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে সেই মেডিক্যাল কলেজে ডিউটিতে রাখা হয়েছে। কেননা সেই কলেজে রানা সিং-এ মেয়ে পড়াশোনা করছেন। রানা সিং সিবিআইয়ের ডাক ইতিমধ্যে পেয়েছেন, আগামীতে আবারও ডাকা হতে পারে বলে সিবিআইয়ের সূত্রে খবর।
নবান্ন অভিযানে তাঁর হাত কামড়াতে পাঠানো ওই পুলিশকর্মীকেই! নন্দীগ্রামে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী