দফায় দফায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত দুবরাজপুর, মৃত এক তৃণমূল কর্মী, সঙ্কটজনক ৯
ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস অব্যাহত বাংলায়। তৃতীয়বার শপথ নেওয়ার পর থেকে একাধিকবার বাংলায় শান্তি ফেরানোর ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ প্রশাসনকেও কড়া হওয়ার জন্যে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এরপরেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে
ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস অব্যাহত বাংলায়। তৃতীয়বার শপথ নেওয়ার পর থেকে একাধিকবার বাংলায় শান্তি ফেরানোর ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ প্রশাসনকেও কড়া হওয়ার জন্যে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এরপরেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির খবর সামনে আসছে।
তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে। বাংলায় আইনশৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশ প্রশাসনকে ইতিমধ্যে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। এরপরেও কীভাবে এই ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
দফায় দফায় উত্তেজনা দুবরাজপুরের মুক্তিনগরে
ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস অব্যাহত বীরভূমেও। দফায় দফায় উত্তেজনা দুবরাজপুরের মুক্তিনগরে। তৃণমূল বিজেপির মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আরও ৯ জন তৃণমূল কর্মী হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে খবর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। শুরু হয়েছে ব্যাপক ধরপাকড়। এলাকাতে পুলিশ পিকেটিং করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
শুক্রবার রাত থেকেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা
তৃণমূলের অভিযোগ, শুক্রবার রাত থেকেই মুক্তিনগর গ্রামে পরিকল্পিত হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তৃণমূল কর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয়। এমনটাই অভিযোগ। যদিও সেই দাবি অস্বীকার করেছে বিজেপি,। পালটা তাঁদের দাবি, ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন গ্রামে হামলা চালাচ্ছে তৃণমূলের বাইক বাহিনী। শনিবার সকাল থেকেও একই রকম ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। আর তা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে বিজেপি এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যর সংঘর্ষ বেঁধে যায়। মুহূর্তের মধ্যে ব্যাপক আকার নেয় বলে অভিযোগ। শুদবু তাই নয়, দুবরাজপুরের পাঁচড়া গ্রামে তৃণমূল কার্যালয়ে আগুন,এক তৃণমূল কর্মীকে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে।
একের পর এক তৃণমূল নেতাদের বাড়িতেও হামলা
পরিস্থিতি এতটা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে যে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বাড়িতেও হামলা হয় বলে অভিযোগ। পাঁচড়া গ্রামে তৃণমূলের খয়রাশোল ব্লকের সভাপতি মাখন মুখোপাধ্যায়-সহ একাধিক শাসক-নেতার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি, চলে বাইক ভাঙচুর। বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠলেও অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। তাঁদের দাবি, এমন কোনও ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কেউ যোগ নেই।
রাজ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিনিধি দল
ভোট-পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। আর এই হিংসার অভিযোগ কতটা সত্য তা খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল আজ শনিবার বীরভূমে পৌঁছন। বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে পারুলডাঙ্গা মাঠে নেমে তাঁরা সোজা যান নানুরে। ভোটের আগে এবং পরে নানুর বারবার উত্তপ্ত হয়েছে রাজনৈতিক সংঘর্ষে। নানুরে ভোটের দিন বিজেপির প্রার্থীর গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। এই নানুরেই বিজেপির এক মহিলা কর্মীকে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে। বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার একাধিক অভিযোগ একে অপরের বিরুদ্ধে। সেই সমস্ত পর্যবেক্ষণ করেন কেন্দ্রীয় দল। এবং বীরভূমের ভোট-পরবর্তী হিংসা যে সমস্ত জায়গায় ব্যাপক হারে দেখা দিয়েছে সেই সব জায়গাতেও কেন্রিয় পর্যবেক্ষকরা যান বলে জানা গিয়েছে। তবে একদিকে যখন নানুরে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ছবি নিজেদের চোখে দেখছেন তখন সন্ত্রাস চলছে দুবরাজপুরে।