পুলিশমন্ত্রী মমতার পদত্যাগ চাই, সরব শুভেন্দু! বিজেপির বিক্ষোভ অবস্থানে বদলে গেল দাবি
রামপুরহাটে গণহত্যার অভিযোগ তুলে প্রথম দিন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করে আসছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আবার তা ফলাও করে প্রতিটি কর্মসূচিতে দাবি জানিয়ে আসছেন।
রামপুরহাটে গণহত্যার অভিযোগ তুলে প্রথম দিন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করে আসছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আবার তা ফলাও করে প্রতিটি কর্মসূচিতে দাবি জানিয়ে আসছেন। তেমনই এদিনও রামপুরহাটে মহকুমা অফিসের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ সমাবেশে শুভেন্দু দাবি করলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুলিশ দফতর ছাড়তেই হবে।
বিজেপি আগেই ঘোষণা করেছিলেন রামপুরহাট-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবিতে তারা সাতদিনভর অবস্থান বিক্ষোভ করবে মহকুমা অফিসের সামনে। কিন্তু তাঁদের দাবি অবস্থান বিক্ষোভ শুরুর আগেই মিটে গিয়েছে। রামপুরহাট-কাণ্ডে আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শুক্রবার। সেইমতো শনিবার সিবিআইয়ের আধিকারিকরা রামপুরহাটের বটুই গ্রামে গিয়ে তদন্তের কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
তাই বিজেপির অবস্থান বিক্ষোভের আর কোনও অর্থ ছিল না। কিন্তু বিজেপি অবস্থান বিক্ষোভ করল। শুধু বদলে গেল দাবি। এতদিন দাবি ছিল সিবিআই তদন্তের। এবার দাবি উঠল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুলিশ দফতর ছাড়তে হবে। এদিন অবস্থান বিক্ষোভে এসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নতুন দাবি তুললেন।
বিজেপির কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আমাদের দাবি ছিল সিবিআই তদন্ত। আদালাত তা ইতিমধ্যেই অনুমোদন করে দিয়েছে। তা বলে আমারা কর্মসূচি তুলে নিচ্ছি না। আমদের দাবি পরিবর্তন করছি আমরা। এখন আমাদের দাবি, পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদত্যাগ করতে হবে। তাঁর অভিযোগ, পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এসব হয়েছে।
তাই এখন থেকে আমাদের আন্দোলন চলবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুলিশমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। যতক্ষণ না তিনি পদত্যাগ করছেন, ততক্ষণ আমাদের আন্দোলন চলবে। শুভেন্দু বলেন, বীরভূমজুড়ে খুন-সন্ত্রাস-লুঠের যে রাজনীতি চলছে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু পুলিশমন্ত্রী সব দিকে থেকে ব্যর্থ।
এদিন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকেও একহাত নেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি অনুব্রত মণ্ডলকে ডাকাতদের সর্দার বলেও তোপ দাগেন। শুভেন্দুর কথায়, রামপুরহাটের বগটুইযে যে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে মেরেছে তৃণমূল, মরেছে তৃণমূলেরই গরিব মানুষ, আর জেলেও গিয়েছে তৃণমূল। আর তারপর মুখ্যমন্ত্রী এসে চেক বিলি করলেন।
ফিরহাদ হাকিম পাল্টা বলেন, সিট তদন্ত করছিল, স্বল্প সময়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন অনেকে। পুলিশের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। তারপর সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিবিআই তদন্ত করছে। সিটের তরফে সমস্ত নথিপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে তদন্তের নামে যদি দিল্লির অঙ্গুলিহেলনে ক্ষমতার অপব্যবহার করে, আমরা ছেড়ে কথা বলব না।