বগটুই-কাণ্ডে বাড়ল মৃতের সংখ্যা, রামপুরহাটে অগ্নিদগ্ধ আরও এক মহিলার মৃত্যু
রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ডে বাড়ল মৃত্যু। গতকাল অগ্নিদগ্ধ হয়ে আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে রামপুরহাটের বগটুইয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১০। মৃতের নাম আতাহার বিবি। অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর ৪০ দিন রামপুরহাচ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। গত শুক্রবার থেকে অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে তাঁর। ভোর ৩টে ২০ মিনিটে মারা যান তিনি। এই নিয়ে রামপুরহাট কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১০।

রামপুরহাটে বাড়ল মৃত্যু
রামপুরহােটর বগটুই হত্যাকাণ্ডে বাড়ল মৃতের সংখ্যা। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন আরও একজন। মৃত মহিলার নাম আতাহারা বিবি। তাঁর পয়স ৫০ বছর। শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল মহিলার। বগটুই হত্যাকাণ্ডের পর ৪০ দিন তিনি রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গত পরশু থেকে আতাহারা বিবির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করেছি। ভোট ৩টে ২০ মিনিট নাগাদ মারা যান তিনি। এই নিয়ে রামপুরহাটের ঘটনায় ১০ জন মারা গেলেন।

বগটুই ঘটনার তদন্তে সিবিআই
কলকাতা হাইকোর্ট বগটুই কাণ্ডের তদন্তের দায়িত্বা সিবিআইএর হাতে দিয়েছে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের জেরা করে একের পর এক তথ্য তথ্য হাতে পেয়েছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই আনারুল ঘনিষ্ঠ ৩ জনকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বগটুই আগুন লাগানোর দিনই রামপুরহাট স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে পালিয়ে গিয়েছিল তারা। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলেরও।

সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার
বগটুইয়ের ঘটনা ঘটেছিল আনারুলের নির্দেশেই। তার দুই শাগরেদ লালন এবং জাহাঙ্গিরের সন্ধানে রয়েছে সিবিআই। লালনের বাড়িতে ইতিমধ্যেই তল্লাশি চালিয়েছেন তদন্তকারীরা। লালনের বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরা পাওয়াগিয়েছে। সেখান থেকে ঘটনাস্থলের ভিডিও পাওয়া যেতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। সেই সিসিটিভি ক্যামেরা বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। তদন্তকারীরা মনে করছেন যদি সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট না করা হয় তাহলে সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল তার একটা ধারনা পাওয়া যাবে এই সিসিটিভি ফুটেজ থেকে।

রামপুরহােটর আইসিকে জেরা
ঘটনার পরের দিনই রামপুরহাট থানার আইসিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সিবিআই তদন্তে নেমে প্রথমেই তাঁকে তলব করে এবং জেরা করা হয়েছে রামপুরহাট থানার আইসিকে। সেই সঙ্গে রামপুরহাটের এসডিপিওকেও জেরা করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় ভাদু শেখের হত্যার ঘটনার তদন্তের দায়িত্বও সিবিআইকে দিয়েছে আদালত। যেহেতু বগটুইয়ে ঘটনার সঙ্গে ভাদু শেখের হত্যার ঘটনা জড়িত সেই কারণেই সিবিআইকে তদন্তের দািয়ত্ব দিয়েছে আদালত।