তৃণমূলের সঙ্গে ‘খেলা হবে’ মাওবাদীদের, ‘কিষেনজি অমর রহে’ পোস্টারে আতঙ্ক জঙ্গলমহলে
তৃণমূলের সঙ্গে ‘খেলা হবে’ মাওবাদীদের, ‘কিষেনজি অমর রহে’ পোস্টারে আতঙ্ক জঙ্গলমহলে
তৃণমূল শুরু করেছিল খেলা। এবার সেই খেলায় অংশ নেবে মাওবাদীরা। সরাসরি পোস্টার সাঁটিয়ে তা জানিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। পোস্টারে স্পষ্ট লেখা, এবার তৃণমূলের সঙ্গে খেলবে মাওবাদীরা। 'কিষেনজি অমর রহে'- দিয়ে শুরু হয়েছিল পোস্টারের বার্তা। তা শেষ হয় তৃণমীলের সঙ্গে খেলার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে।
জঙ্গলমহলে বেশ কয়েকদিন ধরেই মাওবাদীরা সক্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছে। প্রায় এক যুগ পর বাংলায় ফের মাওবাদীদের গতিবিধি লক্ষ্যণীয় হয়ে উঠছে। সেই জ্ঞানেশ্বরীর স্মৃতি আজও অনেকের মনে টাটকা। তারপর পরিবর্তনের জমানায় মাওবাদীরা অস্ত্র ছেড়ে, সন্ত্রাস ছেড়ে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছিল।
কিন্তু তৃণমূলের তৃতীয় জমানায় আবার মাওবাদী ক্রিয়াকলাপ বাড়তে শুরু করেছে। পোস্টার লিখে তৃণমূলকে যে ভাষায় চ্যালেঞ্জ ছুড়েছে মাওবাদীরা, তা জনসমাজে বেশ আতঙ্কের। ফের কি বাম আমলের সেই ভয়াবহ স্মৃতি ফিরে আসবে, নাকি শক্ত হাতে তা দমন করতে সম্ভবপর হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়ায় পড়েছে মাওবাদী পোস্টার। সাদা কাগজে লাল কালিতে লেখা পোস্টার। পোস্টারটি লেখা খুবই অপটু হাতে। তৃণমূল ২০২১-এর ভোটে যে স্লোগান তুলে বাজিমাত করেছিল। সেই স্লোগানকেই হাতিয়ার করে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছোড়া হল পোস্টারে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে কার্যত হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে পোস্টারে।
পোস্টারে লেখা রয়েছে- কিষেনজি অমরপ রহে। এতদিন তৃণমূল খেলেছে জনগণের সাথে। এবার মাওবাদীরা খেলবে তৃণমূল নেতাদের সাথে। নীচে লেখা মাওবাদী। এরপরই পুলিশ এসে সেই পোস্টার সরিয়ে দিয়েছে। তবে আতঙ্ক গ্রাস করেছে এলাকাকে। বিকেল গ়ড়ানোর আগেই ঝাড়গ্রাম জেলায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে তালা পড়ে যাচ্ছে।
ঝালদাকাণ্ডে নাম জড়াল প্রাক্তন যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রের, দেশছাড়া হয়েও রক্ষে নেই
তৃণমূল নেতারা এ প্রসঙ্গে জানাচ্ছেন, প্রশাসন সতর্ক করে দিয়েছে। তাই কোনও ঝুঁকি নিয়ে তাইছেন না কেউ। তৃণমূল নেতারা অতি সাবধানী ভূমিকা নিচ্ছেন। শুধু ওই পোস্টারেই সীমাবদ্ধ নয় হুঁশিয়ারি। মাওবাদীদের টার্গেট কারা, তাও বিভিন্ন পোস্টারে লিখে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পোস্টারে আবার নীচুতলার দু্র্নীতিগ্রস্থ নেতা হিসেবে হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে। মোট কথা তৃণমূল নেতাদের টার্গেট করা হচ্ছে পোস্টারে।
এপ্রিলের প্রথমেই মাওবাদীরা বনধ ডেকেছিল। সেই বনধকে কেন্দ্র করে যে ছবি তৈরি হয়েছিল জঙ্গলমহলে, জঙ্গলমহলে তাতে ভীতির সঞ্চার হয়েছিল। সামনে ভেসে উঠেছিল এক-দেড় দশক আগের ছবি। একের পর এক ঘটনায় ত্রস্ত ছিল জঙ্গলমহল। সেই পরিস্থিতি আবার ফিরতে চলেছে। তৃণমূল নেতারা নিরাপত্তা চেয়ে জেলা পুলিশের কাছে ইতিমধ্যে আবেদন জানিয়েছেন।