'৮ তারিখ বাংলা বন্ধ পালন না করলে মৃত্যুদণ্ড', জঙ্গলমহলে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে মাওবাদী পোস্টার
'৮ তারিখ বাংলা বন্ধ পালন না করলে মৃত্যুদণ্ড', জঙ্গলমহলে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে মাওবাদী পোস্টার
আগামিকাল বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে মাওবাদীরা। সেই বাংলা বনধ না করলে কী পরিণতি তার পোস্টারে লিখে জঙ্গলমহলে ছড়িয়ে দিয়েছে তারা। পোস্টারে লেখা হয়েছে ৮ তারিখ বনধ পালন না করলে মৃত্যুদণ্ড। রীতিমত হুমকির সুরে লেখা হয়েছে পোস্টারগুলি। গত মাসেও মাওবাদী পোস্টার পড়তে দেখা গিয়েছিল জঙ্গলমহলে। তাহলে কি নতুন করে জেেগ উঠছে মাও আতঙ্ক।
বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামের একাধিক জায়গায় মাওবাদী পোস্টার পড়েছে। গতকাল আবার বেলপাহাড়িতে একটি ল্যান্ডমাইন উদ্ধারের হয়েছিল। পুলিশ খবর পেতেই সেখানে বম্ব স্কোয়াড নিয়ে হাজির হয়েছিল। তারপর থেকেই ফের নতুন করে সতর্ক হয়ে উঠেছে পুলিশ। রাজ্য সরকার দুষ্কৃতীদের স্পেশ্যাল হোমগার্ডে চাকরিতে নিয়োগ করেছে। এমনই অভিযোগ তুলে ৮ এপ্রিল বাংলা বন্ধের ডাক দিয়েছে মাওবাদীরা।
তার আগে চলতি সপ্তাহ থেকেই জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জায়গায় উদ্ধার হয়েছে মাওবাদীদের নামাঙ্কিত পোস্টার। তাতে লেখা - "রাজ্য সরকারের দুর্নীতির ক্রিমিনালদেরকে স্পেশ্যাল হোম গার্ড এ চাকরি দেওয়া হল কেন? তার প্রতিবাদে আগামী 8 এপ্রিল তারিখে সারা বাংলা বন্ধ পালন করুন"। বন্ধ না মানলে মৃত্যুদণ্ডের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। সিপিআই মাওবাদীদের নাম সই করা। হঠাৎ করে মাওবাদী পোস্টার ঘন ঘন পড়তে শুরু করায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশও সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছে।
ঝাড়খণ্ড
লাগোয়া
রাইপুর
ব্লকে
প্রথমে
গ্রামবাসীরা
এই
পোস্টার
দেখতে
পান।
সাদা
কাগজের
উপরে
লালকালিতে
লেখা
হুমকি
পোস্টার।
আগেও
এই
ধরনের
পোস্টার
দেখেছে
তারা।
তাই
এটা
যে
মাওবাদীদের
কাজ
তাতে
কোনও
সন্দেহ
নেই।
নতুন
করে
আতঙ্কে
রয়েছেন
গ্রামবাসীরা।
পুরুলিয়ায়
কয়েকদিন
আগেই
খুন
হয়েছেন
কংগ্রেস
কাউন্সিলর
তপন
কান্দু।
তারপরেই
আবার
মাওবাদী
পোস্টার
উদ্ধারের
ঘটনায়
নতুন
করে
উদ্বেগ
বেড়েছে।
স্থানীয়
পুলিশ
গিয়ে
পোস্টারগুলি
উদ্ধার
করে।
এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ। এদিকে হঠাৎ করে এত মাসের মধ্যে জঙ্গলমহলে পর পর ২ বার মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার। তার সঙ্গে ল্যান্ড মাইন উদ্ধারের ঘটনায় নতুন করে মাওবাদী শক্তির মাথা চারা দেওয়ার ঘটনা বাড়তে শুরু করেছে। ঝাড়গ্রামের কাঁকো ও খামার এলাকার একাধিক জায়গাতেও মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার হয়েছে। বাম জমানার অবসান আর কিষেণজির মৃত্যুর পর থেকে জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের দাপট কমেছিল। প্রায় ১০ বছর পরে ফের জঙ্গলমহলে মাওবাদী পোস্টারের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে তাতে নতুন করে শঙ্কার মেঘ ঘনাচ্ছে।