অনুব্রতের রাইস মিলে একাধিক 'রহস্য'! খোঁজ একাধিক বিলাসবহুল গাড়ির
অনুব্রত মণ্ডলের রাইস মিলে পরতে পরতে রহস্য! শুধু তাই নয়, রাইস মিলের মধ্যে একাধিক বিলাসবহুল গাড়ির খোঁজ পেলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। রহস্যজনক ভাবে সেই সমস্ত গাড়িতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্টিকার সেটানো। শুধু তাই নয়, প্
অনুব্রত মণ্ডলের রাইস মিলে পরতে পরতে রহস্য! শুধু তাই নয়, রাইস মিলের মধ্যে একাধিক বিলাসবহুল গাড়ির খোঁজ পেলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। রহস্যজনক ভাবে সেই সমস্ত গাড়িতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্টিকার সেটানো। শুধু তাই নয়, প্রত্যেকটি গাড়ির রঙ কালো।
অন্তত এক একটি গাড়ির মূল্য কয়েক লাখ টাকা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এই বিলাসবহুল এসইউভি গাড়িগুলির মালিক কে? তা নিয়ে একেবারে স্পিকটি নট ওই মিলের কর্মীরা। কিন্তু কেন? ওই মিলে কি এমন কিছু লুকানো আছে? যা বেরিয়ে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন কর্মীরা। তবে এত গাড়ি উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য।
৪০ মিনিট পর খোলা হয় তালা
২০১১ সালের পরে কেনা হয় ভোলে ব্যোম রাইস মিল। আজ শুক্রবার সেখানেই হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু সেখানে ঢুকতেই প্রথমে বাঁধা পান তদন্তকারীরা। প্রায় ৪০ মিনিট মিলের বাইরে বসিয়ে রাখা হয় তদন্তকারীদের। শেষমেশ মিলের গেট খোলা হয়। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ কেন বসিয়ে রাখা হল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও কর্মচারীদের দাবি, চাবি পাওয়া যাচ্ছিল না। তাহলে কেন প্রথমে সিবিআই আধিকারিকদের জানানো হল, অনুমতি নেই। ফলে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
গাড়িতে তৃণমূলের ব্যাচ
মিলের গ্যারেজে একের পর এক বিলাসবহুল কালো গাড়ি। একদিকে সেখানে যেমন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্টিকার লাগানো অন্যদিকে তৃণমূলের পতাকা লাগানো আছে। এই গাড়িগুলি কেন এখানে রাখা আছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রত্যেকটি গাড়িই কি অনুব্রত মন্ডলের তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও কর্মীরা এই বিষয়ে একেবারে চুপ। কার গাড়ি কি কাজে ব্যবহার হত সে বিষয়েও মুখ খুলতে নারাজ মিলের কর্মীরা। এই মুহূর্তে পুরো বিষয়টি সিবিআই আধিকারিকরা যাচাই করে দেখছেন বলে জানা যাচ্ছে।
লুকাতে চাইছে কিছু?
আগামীকাল শনিবার শেষ হচ্ছে অনুব্রত মন্ডলের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ। ১০ দিনের মেয়াদ শেষে শনিবার ফের একবার আদালতে তোলা হবে। আর এর আগে অনুব্রতের বিরুদ্ধে কড়া প্রমাণ জোগার অরতে মরিয়া সিবিআই আধিকারিকরা। আর সেই লক্ষ্যেই ভোলে ব্যোম রাইস মিল তথ্যের খোঁজে হানা দেন তদন্তকারীরা। তবে কর্মচারী থেকে এলাকার মানুষ একেবারে স্পিকটি নট। কেউ কোনও কথা বলতে নারাজ। কেন কীসের আতঙ্কে সবাই মুখ বন্ধ রাখছেন? তা নিয়ে একটা রহস্য দানা বাঁধছেই। কিছু কি আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই রাশিয়ার নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে দোভাল