কেষ্টর বিকল্প নেই, অনুব্রতর জায়গা খালি রেখে নিজেই দায়িত্ব নিলেন মমতা
অনুব্রতর জায়গায় কাউকে ভরসা করতে পারলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
জেলে রয়েছেন কেষ্ট। এদিকে এগিয়ে আসছে পঞ্চায়েত ভোট। এদিকে বীরভূমের কী হবে তা নিয়ে চিন্তার শেষ নেই। কেষ্টর জায়গায় কাকে দায়িত্ব দেবেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিম গত কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। শেষ পর্যন্ত যে পথ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাকে এক কথায় কৌশলী বললে ভুল হবে না। কেষ্টর জায়হা খালিই রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। বীরভূমের দলের রাশ নিজের হাতেই রাখলেন। তাঁকে সাহায্য করবেন ফিরহাদ হাকিম।
কেষ্টর জায়গায় কে
বীরভূমের দোর্দণ্ড প্রতাপ তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি গরুপাচার কাণ্ডে জেলে রয়েছেন। অনেক চেষ্টা করেও সিবিআইয়ের গ্রেফতারি এড়াতে পারেননি তিনি। আসানসোল সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছেন তিনি। ইডিও গ্রেফতার করেছে তাঁকে। ইডি তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যেতে চাইছে। কিন্তু দিল্লি যাওয়া রুখতে প্রাণপণ চেষ্টা করে চলেছেন তিনি। মনে করা হচ্ছে পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেষ্টকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে ইডি। সেক্ষেত্রে বীরভূমের কী হবে। পঞ্চায়েত ভোটে বীরভূমের দায়িত্বে কে থাকবেন এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। কাজল শেখের নাম শোনা যাচ্ছিল।
নিজের হাতে রাখলেন দায়িত্ব
২০১১ সাল থেকে বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসকে সামলেছেন অনুব্রত মণ্ডল। এই প্রথম অনুব্রতহীন বীরভূম। এই পরিস্থিতিতে সংগঠনের বাঁধন অটুট রাখা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে পঞ্চায়েত এলাকায় কীভাবে কাজ করবে শাসক দল তা নিয়ে চিন্তা রয়েছে। কিন্তু কেষ্টর জায়গায় যোগ্য কে হবেন? কারোর উপরেই ভরসা রাখতে পারলেন না সুপ্রিমো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হাতেই রাখলেন বীরভূমের দায়িত্ব। আর তাঁকে এই কাজে সাহায্য করবেন ফিরহাদ হাকিম। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'আমার দু-একজন নেতাকে জেলে পুরে রাখলেও, নির্বাচনের সময়ে তো ঘর থেকে বেরোতে দেন না. মানুষ ভোট দেয়। এবার থেকে বীরভূম জেলা, যতদিন সে অ্যাবসেন্ট থাকবেন, আমি নিজে দায়িত্ব নিয়ে দেখব। '
কেষ্টতেই ভরসা
নিজে বীরভূম জেলার দায়িত্ব নিয়ে কেষ্টর অপরিহার্যতা এক কথায় বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। তিনি জেলে থাকলেও যে দল তাঁর জায়গা ছেড়ে রাখে এবং সুপ্রিমো নিজে তার দায়িত্ব নেন। আগেও অনুব্রতর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। কেষ্টকে বীরের সম্মান দিয়ে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনার কথা বলেছিলেন তিনি। এমকী অনুব্রত মণ্ডল যে নির্দোষ সেকথাও জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আবারও প্রমাণ হয়ে গেল কেষ্টর জায়গা নেওয়ার মত বীরভূমে এখনও কেউ তৈরি হয়নি।
চায়ের দোকানে মুখ্যমন্ত্রী
বীরভূমে সরকারি অনুষ্ঠান সেরে বেড়িয়ে শান্তিনিকেতনে একটি চায়ের দোকানে হঠাৎ ঢুকে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে চায়ের পরিবেশনের কাজে হাত লাগান তিনি। এরকম ছবি প্রায়ই তাঁর জেলা সফরে দেখা যায়। এর আগেও একাধিকবার বীরভূম সফরে এসে চায়ের দোকানে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। গতকাল খোয়াইয়ের হাটও পরিদর্শণ করেন তিনি। সেখানকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Budget 2023: মোবাইল ফোন থেকে টিভি, সস্তা হল কোন কোন জিনিস জেনে নিন এক নজরে