লালনের দেহ নিয়ে সিবিআই ক্যাম্পে পরিবার! প্রমাণ নষ্টের শঙ্কা তদন্তকারীদের
বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালনের দেহ নিয়ে সোজা চলে গেলেন সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে। গত কয়েকদিন আগেই অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগারে দেহ উদ্ধার হয় লালনের।
বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালনের দেহ নিয়ে সোজা চলে গেলেন সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে। গত কয়েকদিন আগেই অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগারে দেহ উদ্ধার হয় লালনের। আর এরপর থেকেই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। আর এর মধ্যেই আজ লালনের মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় হাসপাতালের তরফে। আর এরপরেই সেই দেহ নিয়ে পরিবার সোজা চলে যায় সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে। সেখানেই ধর্নায় বসে যান পরিবারের সদস্যরা।
উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা
ঘটনার সঙ্গে যে সমস্ত আধিকারিক জড়িত আছে তাঁদের শাস্তির দাবিতে চলে এই বিক্ষোভ। আর তা নিয়ে একেবারে উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে রীতিমত হাতাহাতি হতেও দেখা যায়। এমনকি তা সামলাতে গেলে রাজ্য পুলিশের সঙ্গেও বেশ কিছুটা উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে হয় কেন্দ্রীয় জওয়ানদের। ঘটনার পরেই রাস্তা আটকে লালনের পরিবার বিক্ষোভ দেখায় বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনার প্রায় দীর্ঘক্ষণ পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। লালনের দেহ তাঁর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও খবর।
প্রমাণ নষ্টের আশঙ্কা
অন্যদিকে তথ্য প্রমাণ নষ্টের আশঙ্কা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। আর তাই লালন শেখের মৃত্যুর পরেই রামপুরহাটের অস্থায়ী ক্যাম্প রাতারাতি খালি করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, সমস্ত নথি বার করে নিয়ে আসা হয়। আর তা এই মুহূর্তে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনার পরেই মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তাতে একের পর এক গাড়ি বের হতে দেখা যায়। সেই সমস্ত গাড়িতেই বগটুইয়ের ঘটনার সমস্ত তথ্য বার করে নিয়ে আসা হয় বলে খবর।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর একেবারে দুর্গে পরিনত
সিবিআইয়ের ওই অস্থায়ী ক্যাম্পে এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় বাহিনীর একেবারে দুর্গে পরিনত করা হয়েছে। ক্যাম্পের বিভিন্ন অংশ সিল করে দেওয়া হয়েছে। যদিও আজ বুধবার ওই ক্যাম্পে ফরেন্সিকের আধিকারিকদের যাওয়ার কথা রয়েছে। কার্যত নমুনা সংগ্রহ করবেন বলেও জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি সিআইডির আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা বলে জানা যাচ্ছে। মঙ্গলবারই লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত ভার সিআইডিকে দেওয়ার নির্দেশ দেয় নবান্ন। আর এরপর বুধবার সকালেই তদন্তকারীরা রামপুরহাটে পৌঁছে যান বলে খবর।
কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা
বলে রাখা প্রয়োজন, লালন শেখের মৃত্যু র পর থেকেই উত্তেজনা রামপুরহাটে। সিবিআইয়ের শাস্তির দাবিতে লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছে লালনের পরিবার। সেই মতো কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে জেলা পুলিশ প্রশাসনের তরফে। আজ বুধবার লালনের দেহ কড়া পুলিশ নিরাপত্তাতে নিয়ে আসা হয় তাঁর বাড়িতে। বাড়িতে মৃতদেহ পছতেই ভেঙে পড়েন বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা। শোকের ছাইয়া নেমে এসেছে গোটা এলাকাতে।
গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক! সকালেই রাজ্য পুলিশের FIR চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ CBI