শিল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমিতে শিল্প চাই! মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে সরগরম বোলপুর
জমি হারা চাষীদের জমিতে বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসন নয়। মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগেই সরগরম বোলপুর, ক্ষোভে ফুঁসছেন জমিহারা চাষিরা।

২৮ তারিখ বেলা একটায় বোলপুর গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে পেছনে অস্থায়ী হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে সরাসরি চলে আসবেন গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দেবেন। বেলা তিনটায় রয়েছে তারপর বৈঠক। প্রশাসনিক বৈঠকের মূলত কি কি উন্নয়ন করা হয়েছে বোলপুর বীরভূম এর জন্য আর কি কি করা যেতে পারে। এই সমস্ত বিষয় খতিয়ান তুলে ধরা হবে।

২৯ তারিখ বেলা একটায় বোলপুর ডাকবাংলা ময়দান থেকে বোলপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত তার পদযাত্রা করার কথা রয়েছে। তার আগেই মূলত সঙ্ঘবদ্ধ হয়েছেন জমিহারা চাষীরা।
বিক্ষুব্ধ জমিহারা কৃষকদের দাবি, তারা বহু আন্দোলন করেছে কিন্তু এই জমিতে কোনমতেই তারা কোন আবাসন বা কোন বিশ্ববিদ্যালয় নয় শিল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমিতে শিল্পী করতে হবে। যদি তাই না হয় তাহলে সিঙ্গুরের মত জমি চাষীদেরকে ফেরত দেয়া হোক।
আরও দাবি, বোলপুরে যখন মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক ও তার দলের হয়ে প্রচারে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। তখন চাষীদের সঙ্গেও বসে মুখ্যমন্ত্রী তাদের প্রস্তাব ও কথাবার্তা যেন শোনে। যদি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না হয় চাষিরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। পাশাপাশি, তাদের দাবি, সোমবারই তারা মুখ্যমন্ত্রী সফরের সময়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে পারেন। জমি ফেরত না পেলে বিক্ষুব্ধ চাষিরা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন বলেও সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের তত্কালীন বাম সরকার শিবপুর মৌজার ৩০০ একর জমি দখল করে শিল্প হওয়ার আশ্বাস দিয়ে চাষীদের কাছ থেকে। কিন্তু সেই জমি দীর্ঘদিন পড়েছিল চাষীদের জমি ফেরত দেওয়ার জন্য ২০১১ সালের আগে এই জমিতে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে তৃণমূল কংগ্রেস কেউ। ক্ষমতায় এসে তৃণমূল কংগ্রেস ৩০০ একর জমিতে শিল্পের পরিবর্তে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয় ও গীতবিতান টাউন শিপের ঘোষণা করে। যা বলা হয়ে থাকে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। সেই মতো কাজও শুরু হয়েছে এই জমির উপরে।
কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিলের দাবি, প্রতীকী অনশনে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের ১০ জন বন্দি