ঝাড়গ্রামে হাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ বিঘের পর বিঘে ধানী জমি
ঝাড়গ্রামে হাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ বিঘের পর বিঘে ধানী জমি। বিঘ্নিত ট্রেন চলাচল। উৎসব ঘিরেও দেখা দিয়েছে আশঙ্কার কালো মেঘ।
জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের গিধনী রেলস্টেশন লাগোয়া আমতলিয়া এলাকায় ১৮ টি দাঁতাল হাতি শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দিনভর তাণ্ডব চালাচ্ছে। শুক্রবার রাতভর ওই হাতির দল এলাকায় মাঠে গিয়ে যেমন পাকা ধান নষ্ট করছে, তেমনি এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সেই সঙ্গে কখনো রেললাইনের উপর দিয়ে যাতায়াত করছে। আবার কখনো রেল লাইনের ধারে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যার ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে ট্রেন চলাচল।
গ্রামবাসীরা বিষয়টি গিধনী রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টারকে যেমন জানিয়েছেন, তেমনি বনদফতরকে বিষয়টি জানিয়েছেন। ফসলের পাশাপাশি ঘরবাড়ির ক্ষতি করছে হাতির দল। কিন্তু অভিযোগ, এরপরেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি বনদপ্তর। আর তাতেই বেজায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা।
অন্যদিকে, শনিবার থেকে জঙ্গলমহল জুড়ে শুরু হয়েছে বাঁদনা পরবের অনুষ্ঠান। তাই হাতির তাণ্ডবে বাঁদনা পরবের অনুষ্ঠান নিয়ে চিন্তায় রয়েছে অনেকেই। যেভাবে হাতির দল রেললাইনের উপর দিয়ে যাতায়াত করছে তাতে যেকোনো সময় অঘটন ঘটার আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা। তাই বনদফতরকে জানালেও শুক্রবার সারারাত বনদপ্তর এর কোন কর্মীকে দেখতে পাওয়া যায়নি বলে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন। শনিবার সকালে ঠিক একইভাবে হাতি গুলি আমতলিয়া এলাকায় রেললাইনের উপর দিয়ে যাতায়াত করছে এবং রেল লাইনের ধারে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাই তারা বন দফতরকে হাতিগুলিকে অন্যত্র সরানো দাবি জানিয়েছেন।
গ্রামবাসীরা জানান, তারা হাতিগুলিকে জঙ্গলের দিকে তাড়ানোর চেষ্টা করলেও রেললাইনের ধার থেকে হাতির দল যেতে চাইছে না। যার ফলে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বনদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে হাতির গতিবিধির ওপর নজর রাখা হয়েছে। ওই এলাকায় বন দফতরের কর্মীরা নজরদারির কাজ করছে। যে কোন অঘটন রুখতে বনদফতর এর পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে ওই এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে বন দফতর।