পঞ্চম দফার আগে আরও কড়া কমিশন, ভয়ঙ্কর খেলা হবে মন্তব্যে অনুব্রত মন্ডলকে শোকজ
সামনেই পঞ্চম দফা। আর তাই কোনও ঝুঁকি নিতে চায়না নির্বাচন কমিশন। যে কোনও ধরনের উস্কানিমুলক মন্তব্যের জেরে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে কমিশন। ইতিমধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যান করেছে কমিশন। এবার অনুব্রত মন্ডলকে কড়া ব্যবস্থা কমিশন
সামনেই পঞ্চম দফা। আর এই দফা নির্বাচনের আগে আরও সতর্ক নির্বাচন কমিশন। উস্কানিমুলক মন্তব্যে একের পর এক কড়া ব্যবস্থা। ইতিমধ্যে প্রচার থেকে ২৪ ঘন্টা ব্যান করা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে রাহুল সিনহা, দিলীপ ঘোষদের বিরুদ্ধেও। এমনকি উস্কানিমুলক মন্তব্যের জন্যে কড়া শুভেন্দু অধিকারীকে সতর্ক করল কমিশন। আর একেবারে দিনের শেষে অনুব্রত মন্ডলকে নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন।
শোকজ নোটিশ পাঠাল নির্বাচন কমিশন
প্রত্যেক ভোটেই নির্বাচন কমিশনের নজরে থাকেন অনুব্রত মন্ডল। ভোট ঘোষণার প্রথমদিন থেকে তাঁকে কার্যত নজরবন্দি করে রাখে কমিশন। তাঁর প্রতি মিটিং, র্যালি এবং মন্তব্য ক্যামেরা বন্দি করা হয়। শুধু তাই নয়, বিরোধীরা একাধিকবার কমিশনের কাছে অভিযোগ জমা করে। অভিযোগ, অনুব্রত বারবার 'খেলা হবে, ভয়ংকর খেলা হবে' মন্তব্যের বিরুদ্ধে। তারপরই অনুব্রত মণ্ডলের কাছে শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছে কমিশনের তরফে। আজ মঙ্গলবার রাত ১০টার মধ্যে উত্তর দিতে বলা হয়েছে অনুব্রতকে। কেন এমন মন্তব্য, খেলা হবে স্লোগানের ব্যাখ্যাই বা কি? সব বিষয়ে কমিশন জানতে চেয়েছে কমিশনের কাছে।
খেলা হবে...ভয়ঙ্কর খেলা হবে
প্রতি ভোটেই বিতর্কিত অনুব্রত মন্ডল। কখনও গুড় বাতাসা তো কখন চড়াম চড়াম ঢাক বাজানোর হুঁশিয়ারি শোনা যায় অনুব্রতের মুখে। তবে এবার ভোটের শুরু থেকেই কেষ্টার মুখে খেলা হবে স্লোগান। কেমন খেলা হবে? প্রশ্নের উত্তরে তিনি আবার এক ধাপ এগিয়ে বলছেন "ভয়ংকর খেলা। এই খেলায় তৃণমূলের সঙ্গে পেরে ওঠা মুশকিল। মোদ্দা বিষয়টা ট্রেনিংয়ের। কোন বলে চার, কোন বলে ছয়, আবার কোন বলে দু'রান নিলেও আউট হব না, সেটা বুঝে গেলে কোনও সমস্যাই নেই।" অনুব্রত এও বলেন, "এই খেলার রেফারি হবে নির্বাচন কমিশন, খেলায় আহতদের হাসপাতালে ভরতি করা হবে।" এই মন্তব্যে ঘিরে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
অনুব্রতের হুঁশিয়ারিতে আতঙ্কিত বিজেপি
কখনও বলছেন ভয়ঙ্কর খেলা হবে তো আবার কখনও বলছেন খেলা দেখবে কমিশন। কার্যত আতঙ্কিত বিজেপি। বিজেপির দাবি, অনুব্রত মণ্ডল পক্ষান্তরে হুমকি দিচ্ছেন, ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছেন। বারবার বিভিন্ন সভাতে বিজেপিকে ঠেঙিয়ে পগার পার করার নিদান দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয় বীরভূম জেলার গেরুয়া শিবিরের তরফে। বিজেপির অভিযোগের পর অনুব্রত মণ্ডলের কাছে এই সব মন্তব্যের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। জেলার নির্বাচনী অফিসার সেই ব্যাখ্যা রাজ্য নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দেবে। এবং সেখান থেকে তা দিল্লির নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
দলনেত্রীর উপর নিষেধাজ্ঞায় ফুঁসে উঠলেন অনুব্রত
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করেছেন। অনুব্রত অভিযোগ করেছেন এমন কমিশন অন্ধ্র ধৃতরাষ্ট্রের মতো আচরণ করছে। অন্য বিজেপি নেতাদের কথা তাঁদের নজরে পড়ছে না। কেবল মাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই টার্গেট করে রাখা হয়েছে। তার উপরেই একের পর এক নোটিস, নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য শীতলকুচিতে তাঁকে যেতে দেওয়া হয়নি। কমিশনই তাতে হস্তক্ষেপ করেছিল।
কমিশন বিজেপির শাখা সংগঠন
নির্বাচন কমিশনকে বিজেপির শাখা সংগঠন বলে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। মমতার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন কুণাল ঘোষ, ডেরেক ওব্রায়েনরা। গণতন্ত্রের কালো িদন বলে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। মমতা বন্দ্যোরাধ্যায়কে একা আন্দোলনে বসতে দেখে অনেকেই সিঙ্গুর আন্দোলনের কথা মনে করছেন।