লালন শেখের বাড়িতে CID-র ফরেন্সিক দল, সংগ্রহ করলেন একাধিক নথি
লালন শেখের বাড়িতে CID-রফরেন্সিক দল, সংগ্রহ করলেন একাধিক নথি
লালন শেখের বাড়ি পরীক্ষা করল সিআইডির ফরেন্সিক দল। সিবিআই সিল করে যাওয়ার পর এই প্রথম গ্রামে গিয়ে খোলা হল লালন শেখের বাড়ি। সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করল সিআইডির ফরেন্সিক টিম। লালন শেখের সিল হওয়া বাড়ি থেকে বেশ কিছু মূল্যবান জিনিস চুরি গিয়েছে বলে থানায় অভিযোগ দারে করেন লালন শেখের স্ত্রী। সিবিাইয়ের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি।
সিআইডির তদন্ত নিয়ে গত পরশুই শুানানি ছিল হাইকোর্টে। সেখানে কেস ডায়রি জমা দিয়েছে সিআইডি। সেই তদন্ত দেখে উষ্ম প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি। তিনি ডিআইজি সিআইডির অধীনে থেকে মামলার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত কেন লালন শেখের স্ত্রীর বয়ান রেকর্ড করা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি। তার পরেই তৎপর হয় সিআইডি। এদিকে যে সাত সিবিআই অফিসাররে বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে সেই সাত সিবিআই অফিসারকে রক্ষা কবচ দিয়েছে হাইকোর্ট অর্থাৎ এই সাত সিবিআই অফিসারকে গ্রফতার করতে পারবেন না সিআইডি অফিসাররা।
গত ১২ ডিসেম্বর রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ছাউনিতে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় বগটুই কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের েদহ। সিবিআই তাকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। সিবিআইয়ের সাত অফিসারের বিরুদ্ধে রামপুরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন লালন শেখের স্ত্রী। তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিল পরিবার। কিন্তু কোর্ট তাঁদের রক্ষা কবচ দিয়েছে। সেকারণে সিআইডি তাঁদের জেরা করলেও গ্রেফতার করতে পারছে না।
লালন শেখের রহস্য মৃত্যুর নেপথ্যে শাসক দলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতারা। এদিকে আবার পাল্টা শাসক দলে অভিযোগ লালন শেখকে খুন করিয়েছে সিবিআইই। এই নিয়ে প্রবল রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য শুভেন্দু অধিকারীর ডিসেম্বর ডেডলাইনের প্রথম দিনেই ঘটেছে এই ঘটনা। যে তিনটি দিন উল্লেখ করে ডেডলাইনের দিন ঘোষণা করা হয়েছিল। তার প্রথম দিনই ছিল ১২ ডিসেম্বর।